ভোলা বাণী : ভোলার তজুমদ্দিনে মেঘনার জোয়ারের পানি ডুকে সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় দেড় কিলোমিটার রাস্তায় ২৩টি সাঁকো বসিয়ে যাতায়াত করছে এলাকাবাসী। পার্শ্ববর্তী গ্রামের রাস্তাসহ পুরো চাদপুর ইউনিয়নে রয়েছে গাছ ও বাঁশ দিয়ে তৈরী শতাধিক সাঁকো। ফলে মারাত্মক ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে স্কুল-কলেজ গামী শিশু ও শিক্ষার্থীরা। পাশাপশি চরম দুর্ভোগে পড়েছে রোগী, ব্যবসায়ী সহ সাধারন মানুষ।
স্থানীয় সুত্র ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার চাদপুর ইউনিনের দড়িচাদপুর ও চৌমহনীর দুটি পয়েন্টে মেঘনার প্রবল ভাঙ্গনে বর্ষার শুরু থেকে জোয়ারের পানি ডুকে প্রায় ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়। প্রায় ৪ মাস জোয়ার-ভাটা উঠা নামার ফলে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ে স্থানীয়রা। ঘর-বাড়ী, ফসলি জমি সহ বিনষ্ট হয় রাস্তা-ঘাট।
তজুমদ্দিন টু কঞ্জেরহাট সড়কের পাটওয়ারীর দোকান থেকে বাড়ই বাড়ী মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার (আংশিক পাকা) রাস্তায় ২৩টি সাঁকো বসিয়ে দেওয়ানপুর, ঘোষেরহাওলা, বালিয়াকান্দি, চাপড়ী সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করছে। এছাড়া ভুলাইকান্দি, কাজীকান্দি, তালুকগ্রাম, মাওলানাকান্দি ও দড়িচাদপুর গ্রামের কাচা-পাকা রাস্তা রয়েছে শতাধিক সাঁকো।
দড়িচাদপুর পয়েন্টে বেড়ীবাঁধ নির্মান করা হলেও চৌমহনী পয়েন্ট দিয়ে একনো ডুকছে জোয়ারের পানি। এসব এলাকায় আমন ধান পচে নষ্ট হয়ে গেলেও বেপারীর ডগি ও জাইল্যার বিলের প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমির রবিশস্য আবাদে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। দেওয়ানপুর গ্রামের শামছুদ্দিন জানান, নারী, স্কুলগামী শিশু ও বৃদ্ধ মানুষকে নিয়ে বেশী ঝামেলা পোহাতে হয়। সাথে সাথে থেকে তাদেরকে অনেকগুলো সাঁকো পাড় করে দিতে হয়।
৩নং ওয়াডের ইউপি সদস্য মাষ্টার তৈয়বুর রহমান জানান, প্রতিদিনই কেউ না কেউ সাঁকো থেকে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। এলাকায় কেউ অসুস্থ হলে এ্যাম্ভুলেন্স তো দুরের কথা ভেনগাড়ীতেও নেয়া সম্ভব হয়না। এছাড়া ক্রয়-বিক্রির জন্য ভারী কোন মালামাল এলাকা থেকে আনা নেয়া করা যায়না।
উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্জ অহিদউল্যাহ জসিম বলেন, এমপি মহোদয়ের আন্তরিকতায় দ্রুত বেড়ীবাধ নির্মান কাজ শুরু হয়েছিল, কিন্তু ঠিকাদারের ব্যর্থতার কারনে চৌমুহনী পয়েন্টে বাঁধ নির্মান সর্ম্পন্ন হয়নি। যে কারনে কয়েকটি গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ রয়ে গেছে। অতিদ্রুত তা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৪২:৫০ ১৭১ বার পঠিত |