বয়স চল্লিশের পর রোজ ডিম খাওয়া কি ভালো

প্রথম পাতা » টিপস » বয়স চল্লিশের পর রোজ ডিম খাওয়া কি ভালো
বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪



ভোলাবাণী লাইফস্ট্যাইল।।

  • চল্লিশ পার হলেই কোলেস্টেরলের কথা ভেবে ডিম খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল
  • সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে পরিমিত পরিমাণে ডিম খাওয়া খুব একটা বিপজ্জনক নয়

 

বয়স চল্লিশের পর রোজ ডিম খাওয়া কি ভালো

ডিম সুস্বাদু আর সহজলভ্য এক খাবার। ছোট এই খাবারে রয়েছে শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ১৩টি পুষ্টিগুণ। ডিম সাশ্রয়ী মূল্যে প্রাণিজ প্রোটিনের মধ্যে অন্যতম। ডিমকে বলা হয় ‘গরিবের প্রোটিন’। আবার টেকসই প্রাণিজ প্রোটিনের মধ্যে এর স্থান সবার ওপরে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা থেকে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা— ডিমের গুরুত্ব অপরিসীম। যার কারণে সব বয়সেই নিয়মিত ডিম খাওয়ার কথা বলেন পুষ্টিবিদ এবং চিকিৎসকরা।

শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটানো থেকে শুরু করে ওজন কমানোর ডায়েটেও ডিম রাখা যায়। একটি সিদ্ধ ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ ৬ গ্রামের একটু বেশি। পাশাপাশি, এতে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি। কোলেস্টেরল থাকে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম মতো।

প্রতিদিন অন্তত দুই লিটার পানি কেন খাবেনপ্রতিদিন অন্তত দুই লিটার পানি কেন খাবেন

৪০ এর পর প্রতিদিন ডিম খাওয়া কি জরুরি?

বয়স আট হোক বা আশি, শরীর ফিট রাখতে ডিম খাওয়া জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু বয়স চল্লিশের পর থেকে রোজ ডিম খাওয়া ঠিক হবে কি না, অনেকেই সেটা বুঝতে পারেন না। চল্লিশের পর রোজ ডিম খাওয়া ঠিক হবে কি না, তা নিয়ে একটা সংশয় তৈরি হয়।

আসলেই কি বয়স ৪০ পার হলে কি রোজ ডিম খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি?

চিকিৎসকেরা বলছেন, বয়স যত বাড়তে থাকে ততই পেশির ক্ষয় শুরু হয়। আর ডিম পেশির ক্ষয় আটকায়। ডিমে যেহেতু পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে, সে কারণে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয় ডিম খেলে। তা ছাড়া ডিম অত্যন্ত সহজপাচ্য। এতে লিউসিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা পেশি গঠনে অত্যন্ত উপকারী। পাশাপাশি ডিমে থাকে ভিটামিন ডি ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। হৃদ্‌যন্ত্র ভালো রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতেও নিয়ম করে ডিম খাওয়া জরুরি।

আর তাই চল্লিশ পার হলেই কোলেস্টেরলের কথা ভেবে ডিম খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল। সম্প্রতি গবেষকরা বলছেন, সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে পরিমিত পরিমাণে ডিম খাওয়া খুব একটা বিপজ্জনক নয়। পঞ্চাশ পেরিয়ে গেলে সপ্তাহে তিনটি ডিম খাওয়া যেতে পারে।

তারপরেও কেউ যদি নিশ্চিন্ত হতে না পারেন তাহলে তাঁরা ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে সাদা অংশটি খেতে পারেন। তবে মনে রাখা দরকার, সকলের শরীর সমান নয়। কাজেই কোনও অসুস্থতার লক্ষণ থাকলে বা পুষ্টি সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও দ্বিধাবোধ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডিম খাওয়া উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:০৭:১৮   ৬৪ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)