উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীক বরিশাল নদী বন্দরে ফিরে গেছে।

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীক বরিশাল নদী বন্দরে ফিরে গেছে।
সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৭



---ভোলাবাণী ডেস্ক: বরিশাল সদর উপজেলার চর-বাড়িয়া এলাকার কীর্তনখোলা নদীতে গ্রীন লাইন-২ এবং কার্গোর মুখোমুখি সংঘর্ষে ডুবে যাওয়া দুটি জলযান উদ্ধারের সক্ষমতা নেই নৌ চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিআইডব্লিউটিএ’র। যার ফলে ১৯ ঘণ্টা চেষ্টার পর উদ্ধার অভিযান বাতিল করে রোববার দুপুরে উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীক বরিশাল নদী বন্দরে ফিরে গেছে।
জানা গেছে, অর্ধ নিমজ্জিত গ্রীন লাইন-২ এর ওজন ৬শ’ ৪৫ টন। আর সাড়ে ৫শ’ টন কয়লাসহ ডুবে যাওয়া কার্গো এমভি মামুন-মাসুদ-১ এর ওজনও প্রায় ১ হাজার টন। অথচ বরিশালে থাকা বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীকের উত্তোলন ক্ষমতা মাত্র আড়াইশ’ টন।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের উপ-পরিচালক এবং উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীকের কমান্ডার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকেলে দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীক নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। তবে নির্ভীকের উত্তোলন ক্ষমতার চেয়ে গ্রীন লাইন-২ এর ওজন বেশি হওয়ায় সেটা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরে থাকা একই ক্ষমতা সম্পন্ন বিআইডব্লিউটিএ’র অপর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় বরিশাল এনে দুটি জাহাজ দিয়ে একযোগে ডুবে যাওয়া কার্গো এবং অর্ধ নিমজ্জিত গ্রীন লাইন-২ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে অর্ধনিমজ্জিত গ্রীন লাইন-২ নৌযানটি যাতে পুরোপুরি ডুবে না যায় সে জন্য রশি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। সেটি এখন আর ডুবে যাওয়ার শঙ্কা নেই।

এমভি গ্রীন লাইনের সহকারী ব্যবস্থাপক অনিক হাসান জানান, নৌযানটি উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএ’র কাছে তারা সহায়তা চেয়েছিলেন। তবে তারা জানিয়েছে, গ্রীন লাইন-২ উদ্ধারের সক্ষমতা তাদের নেই। এখন কোম্পানির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নৌযানটি পাম্প বসিয়ে পানি সরিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রীন লাইন-২ উদ্ধারের পর বরিশালের কোনো একটি ডকইয়ার্ডে এটি মেরামত করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে কীর্তনখোলা নদীতে দুটি নৌযানের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। তদন্ত কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেনকে প্রধান এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নৌ-পুলিশের একজন প্রতিনিধি, বিআইডব্লিউটিএ’র একজন প্রতিনিধি ও ফায়ার সার্ভিসের একজন প্রতিনিধিকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটিকে পরবর্তী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছেন জেলা প্রশাসক ড. গাজী সাইফুজ্জামান।

জেলা প্রশাসক জানান, তদন্ত কমিটিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুর্ঘটনার কারণ এবং আগামীতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে করণীয় সম্বন্ধে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

গত শনিবার বিকেল ৩টায় যাত্রী নিয়ে গ্রীন লাইন-২ বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। কীর্তনখোলা নদীর চর-বাড়িয়ায় বিপরীতমুখী একটি কার্গোর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে কার্গোটি মুহূর্তেই ডুবে যায়। এসময় কার্গোতে থাকা ৬ কর্মচারী সাঁতরিয়ে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। অপরদিকে দুর্ঘটনায় গ্রীন লাইন-২ এর একাংশ বিধ্বস্ত হয় এবং এটির তলা ফেটে পানি ভেতরে প্রবেশ করে। এ অবস্থায় চালক সতর্কতার সাথে তীরে নোঙ্গর করতে সক্ষম হয়। যার ফলে কোনো যাত্রী হতাহত হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৩৩:৪৮   ৪২৭ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


চরফ্যাশনে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য নিহত
ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় চলছে বাগদার রেণু শিকারের মহোৎসব
ড্রেজারে সরকারি জলাশয়ের মাটি খনন ঝুঁকিতে মুজিব কিল্লা
চরফ্যাশনে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
এসএসসিতে বরিশাল বোর্ডে শীর্ষে পিরোজপুর জেলা
ভোলা শহরে নেই কোন গণশৌচাগার ॥ জনগনের ভোগান্তি চরমে
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচনমটরসাইকেল ও উড়োজাহাজ প্রার্থীর গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ
বিভাগীয় পর্যায়ে লোক ও উচ্চাঙ্গ নৃত্যে ভোলার মেয়ে অহনার ১ম স্থান অর্জন
মনপুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা ॥ ১ জনের মনোনয়ন বাতিল ॥
এসএসসির ফলাফল জানা যাবে যেভাবে

আর্কাইভ