হেলাল উদ্দিন লিটন।।ভোলাবাণী।।তজুমদ্দিন প্রতিনিধি ॥
ভোলার তজুমদ্দিনে শশীগঞ্জ বিটের অধীনে বঙ্গোপসাগরে জেগে উঠা নতুন চরসহ উপকূলীয় এলাকায় বনায়ন প্রকল্পে ওয়াসার (বাগান পাহারাদার) নিয়োগ কগজে-কলমে দেখিয়ে সরকারী টাকা লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে দৌলতখাঁন রেঞ্জের রেঞ্জারের বিরুদ্ধে। এনিয়ে নিয়োগ পাওয়া ওয়াসারদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সুত্রে জানা যায়, উপকূলীয় এলাকাকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাস থেকে বাঁচাতে বঙ্গোপসাগরে জেগে উঠা নতুন চরসমূহে বনায়ন করার লক্ষে ২০১৭ সালে ‘বঙ্গোপসাগরে জেগে উঠা নতুন চরসহ উপকূলীয় এলাকায় বনায়ন’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়।প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার চরউড়িল ও চরমোজাম্মেলে বনায়নের কার্যক্রম শুরু করে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান বন অধিদপ্তরের দৌলত খাঁন রেঞ্জের কর্মকর্তারা।
চুক্তি অনুযায়ী চর বনায়ন প্রকল্পে ২০১৮ সালে ৩শত হেক্টর, ২০১৯ সালে ২শত হেক্টর জমিতে বাগান সৃজিত করেন বন বিভাগ। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি মাসে জন প্রতি মাসে ৫হাজার ৫শত ৫০ টাকা বেতনে চর বনায়নে প্রতি ১শত হেক্টরে ৫ জন করে ২০২০ জানুয়ারী মাস থেকে ওয়াসার (বাগান পাহারাদার) নিয়োগ করেন দৌলতখান রেঞ্জ। সৃজিত বাগান অনুযায়ী ১১০ জন ওয়াসার নিয়োগ দেন। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ১১০ জন ওয়াসারের বিল আসে ৬লক্ষ ১০ হাজার ৭শত ২০ টাকা সে অনুযায়ী জানুয়ারী থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রেঞ্জার আকরাম হোসেন উত্তোলন করেন প্রায় ৬৭ লক্ষ ১০ হাজার ৭ শত ২০ টাকা। যার পুরো টাকাই দৌলতখান রেঞ্জের রেঞ্জার আকরাম হোসেন ওয়াসার (বাগান পাহারাদার) কগজে-কলমে নিয়োগ দেখিয়ে রেজিষ্টারে ভূয়া স্বাক্ষর দিয়ে তাদের জন্য বরাদ্ধের টাকা আতœসাৎ করেন। চর বনায়নের কাজটি দৌলতখান রেঞ্জের অধীনে শশীগঞ্জ বিট বাস্তবায়ন করলেও ওয়াসার নিয়োগ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্রের ফাইল নেই বিট অফিসে। নাম মাত্র বিট অফিস থাকলেও এখানে নেই কোন তথ্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াসার মোঃ হাসান বলেন, ওয়াসার হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পর থেকে আজও পর্যন্ত কোন টাকা পাইনি। রেঞ্জার আকরাম স্যারের কাছে টাকা চাইলে তিনি বরাদ্ধ নেই বলেন জানান। রেজিষ্টারে কোন স্বাক্ষর নেয়া হয় কিনা এমন প্রশ্নে তিনি সাফ জানান কোন স্বাক্ষর নেয় না। শশীগঞ্জ বিটের বিট কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ হাসান বলেন, আমি নতুন যোগদান করে এসব বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবো না। ওয়াসার নিয়োগ সংক্রন্ত কোন ফাইল বিট অফিসে নেই।
অভিযুক্ত দৌলতখাঁন রেঞ্জের রেঞ্জার মোঃ আকরাম হোসেন বলেন, করোনার কারণে ওয়াসারের বিল কিছু সময় বন্ধ ছিলো। পরবর্তীতে উত্তোলন করে ওয়াসারকে বেতন দেয়া হয়েছে। তবে তার কাছে ওয়াসারের তালিকা চাইলে তিনি মিল করে পরে দিবে বলে ফোন কেটে দেন।
ভোলা জেলা বন কর্মকর্তা তৈফিকুল ইসলাম বলেন, ওয়াসারের বেতন উত্তোলন করে আতœসাৎ করার কোন সুযোগ নেই। তবুও খোজ খবর নিয়ে অভিযোগের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৮:০৩ ১৬৭ বার পঠিত |