ভোলা শহর রক্ষা বাধ হুমকির মুখে ॥ ড্রেজিং এর দাবী

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ভোলা শহর রক্ষা বাধ হুমকির মুখে ॥ ড্রেজিং এর দাবী
বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০



বিশেষ প্রতিনিধি ॥ভোলা বাণী।।
ভোলার মেঘনায় বর্ষা মৌসুমেও মাঝ নদীতে ডুবোচর চর জেগে উঠার কারনে নৌ চলাচলে মারাত্মক বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। চরের কারনে মাছ শিকার করতে গিয়েও বিরম্বনার মধ্যে পড়ছেন জেলেরা। এছাড়াও একই কারনে নদীর গতিপথ পাল্টা স্রোত বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে একদিকে যেমন নদী ভাঙ্গনের সম্ভবনা রয়েছে অন্যদিকে বেশ কিছু পয়েন্ট দিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে শহর রক্ষা বাঁধ।

মাঝ নদীতে ডুবোচর চর জেগে উঠার কারনে নৌ চলাচলে মারাত্মক বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে।

এ অবস্থায় ডুবোচরগুলোকে কেটে ড্রেজিং করার দাবী ভুক্তভোগীদের। তবে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিংয়ের একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুম শুরু হলেও ভোলার মেঘনা নদীতে অসংখ্য ডুবোচর জেগে রয়েছে। বিশেষ করে ধনিয়া, কাচিয়া ও ইলিশা নৌ চ্যানেলে রয়েছে অসংখ্য ডুবোচর। এসব চরের কারণে ব্যাহত হচ্ছে নৌযান চলাচল। আর এ কারনেই অনেক ক্ষেত্রে জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করে চলতে হচ্ছে নৌ যান। কখনো আবার মাঝ নদীতেই আটকে যায় নৌ-যান। শুধু তাই নয়, মাছ শিকারের গিয়েও বিপাকে পড়ছেন জেলেরা।
হালান মাঝি, জাহাঙ্গির, সবুজসহ কয়েকজন জেলে জানান, নদীতে মাছ শিকার করতে গিয়ে নৌকা চরে আটকে যায়, অনেক সময় আবার জাল আটকে ছিড়ে যায়। কোথায় চর রয়েছে আর কোথায় চর নেই সেটা বুঝা যায় না। বেশীরভাগ এলাকায় এ অবস্থা।
কাচিয়া ইউপি সদস্য মনির হোসেন বলেন, নদীতে ডুবোচরের কারণে নৌযান চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বাধও ঝুকির মধ্যে পড়েছে, কারন জাহাজগুলো তীর ঘেষে যাওয়ায় ঢেউয়ে বাধ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
কাচিয়া ও ধনিয়া এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, শীত মৌসুমে ডুবোচর থাকলেও এখন বর্ষায়ও সেই ডুবোচর। উজান থেকে পানির সাথে আসা পলি মজে সৃস্টি হয়েছে ডুবোচর। এসব চরের সাথে টেউ বারী খেয়ে স্রোত আগাত হানছে কূলে। এতে ভোলা শহর রক্ষাবাধের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গনের সৃস্টি হয়েছে। এছাড়াও নৌপথে ভোগান্তি হচ্ছে। বিশেষ করে নদীর গতিপথ পাল্টে যাওয়ায় স্রোত বেড়েছে। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে নদীর তীর, বসতি ও স্থাপনা।
এলাকাবাসী আরো জানায়, নদীর ঢেউ চরে বাধাগ্রস্থ হয়ে পাল্টে গেছে নদীর গতিপথ এতে স্রোতর তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারনে নদীর কুলে আছড়ে পড়ছে স্রোত। আর তাই ঝুঁকিতে বাঁধের বেশ কিছু পয়েন্ট। তাই নদীতে ড্রেজিংয়ের দাবী এলাকাবাসীর।
উজান থেকে নেমে আসা পলির কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: আব্দুল মান্নান খান বলেন, জেলার সদরের অন্তত ১০ কিলোমিটার পয়েন্টে ডুবোচর রয়েছে। পুরো জেলায় ৩৬ কিলোমিটার এলাকায় ডুবোচর ডেজিংয়ের একটি প্রকল্প রয়েছে, যা অনুমোদনের অপক্ষোয়। সেটি হলেও এ সমস্যা থাকবে না।
এদিকে খুব দ্রুত ডেজিং করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবী এলাকাবাসীর।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:২৩:৫৮   ১১৮ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করা হচ্ছে
ভোলায় মাসব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের উদ্বোধন
ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪রাজাপুরে উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারেফ হোসেনের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত
ভোলার গ্যাস উৎপাদন: বাড়তি খরচে কূপ খনন করতে চায় রাশিয়ার গাজপ্রম
ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪৬২২ ফিলিস্তিনি নিহত
মুজিব শতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পুরনে একধাপ এগিয়ে মনপুরায় বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাস পর্যটন কেন্দ্রস্থান সচিবের পরিদর্শন ॥
শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন মুফতি মাও: মুজির উদ্দিন
চাহিদার চেয়ে উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকলেও ভোলায় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।
লালমোহনে জাগোনারী’র অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

আর্কাইভ