ভোলা বাণী।। বিশেষ প্রতিনিধিঃলক্ষ্মীপুর জেলার মজুচৌধুরীর হাট, মতিরহাট, আরেকজান্ডারসহ কয়েকটি নৌপথ দিয়ে ভোলায় ট্রলারযোগে মানুষ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত এলাকা থেকে দৌড়ে আসছে। মানুষ আসছে বরিশাল হয়ে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবৈধ ট্রলারে আসছে এসব মানুষ। আর এসব মানুষ ভোলার মানুষের ঘুম হারাম করে দিচ্ছে। কিন্তু এ জন্য কারা দায়ী? প্রশাসনের উচিৎ এক্ষুনি শক্ত ভূমিকা গ্রহণ করা।
মেঘনা-তেতুলিয়া নদীর এ নৌপথগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় নৌপথ হচ্ছে মজুচৌধুরীরর হাট -ইলিশা, মতিরহাট-ইলিশা, মতিরহাট-তুলাতুলি নৌপথ। ভোলা ইলিশাঘাট নিয়ন্ত্রণ করছে পূর্ব-ইলিশার চেয়ারম্যান হাসান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হোসেন শহিদ সরোয়ার্দি ওরফে সরোয়ারদি মাষ্টার ও ফারুক বেপারি। এদের সঙ্গে কিছু ছুটকা-ছাটকা লোক আছে। যারা এদের কথায় এলাকায় রাম রাজত্ব কায়েম করছে। ভোলার ঘাটে ট্রলার থামালেই এসব রাঘববোয়ালদের দিতে হয় বড় মাপের উৎকোচ।
আবার মজুচৌধুরীরহাট ঘাট নিয়ন্ত্রণ করে আলমগীর মেম্বার নামের একজন, যিনি এখন জেলা পরিষদের সদস্য। এই আলমগীর মেম্বার আবার ফারুক বেপারীর আত্মীয়। এরা এ নৌপথে লুটপাট করার জন্য আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ।
এখন কথা হচ্ছে, ঘাট যেই নিয়ন্ত্রণ করে করুক। দুঃখ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে অবৈধ ট্রলার, অবৈধ মানুষ আসছে কিভাবে। যে মানুষের কারণে ভোলার মানুষ আতঙ্কিত!
এমনিতেই ভোলায় লোকসংখ্যা ২১ লাখের বেশি। আরও ৪-৫ লাখ ঢাকা-চ্ট্টগ্রামে ভাসমান ছিল। যারা গার্মেন্টস, কল-কারখানায় কাজ করতো। এখন সেখানে কাজ নেই। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কে দেশে ফিরছে। এদের শরীরে যে জীবাণূ নেই, তা হলপ করে কেউ বলতে পারবে। লালমোহনে এক বাড়িতে এ রকম একজনকে প্রশাসন পেয়ে তাকে কোয়ারেন্টাইনে এবং ৯ বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে। আশপাশের মানুষ সেটি জানতে পেরেছে বলে প্রশাসন এটা করতে পেরেছে।
ভোলায় প্রতিদিন শত শত মানুষ পালিয়ে আসছে। সরকারের নিয়ম মানছে না। ভোলার মানুষকে আতঙ্কগ্রস্থ করার জন্যে পালিয়ে আসছে। এমনিতেই আমরা অসচেতন, কিন্তু যারা সচেতন, তাদের ঘুমাতে দিচ্ছে না।
অনেকে অনেকভাবে চিল্লাচ্ছে। কাজ হচ্ছে না। ফেসবুকে গলা ফাটাচ্ছে। না রাজনীতিবিদ, না প্রশাসন, সবাই যেনো থম মেরে বসে আছে। যে এলাকায় এসব হচ্ছে, সেই ভোলা ইলিশায় একটি নৌথানা আছে। ভোলায় কোস্টগার্ডের দক্ষিণজোনের জোনাল কমান্ডারের কার্যালয়। সেখান থেকে পুরো দক্ষিণের জলসীমানা শাসন হয়। তাদের রয়েছে মেঘনায় চলার মতো দ্রুতগামী স্পিডবোট। মজুচৌধুরীরহাট ঘাটের সঙ্গে কোস্টগার্ডের একটা ক্যাম্প আছে। এতো কিছু থাকার পরে এ নৌপথে সরকারের নিয়ম ভঙ্গ হয় কি করে। কিভাবে মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। তারপরে এখন চলছে, জাটকা সংরক্ষণের জন্য অভয়াশ্রম। সেখানে সারা দিন কোস্টগার্ডের নদীতে থাকার কথা। আর সেখানে ডেঞ্জারজোন উপেক্ষা করে সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে অবৈধ ট্রলারে অবৈধ মানুষ আসছে। সাহস কতো!
ভোলার শুশিল সমাজ মনে করে, এসব ট্রলার ধরে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া উচিৎ। আর মাঝিকে দেওয়া উচিৎ জেল। এ দু চার টাকা জরিমান করে কোনো লাভ হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১১:২৩:৪৯ ২০০ বার পঠিত |