স্ট্যাফ রির্পোটার।।ভোলাবাণী।।ভোলার জলসীমায় হঠাৎ করেই জলদস্যুদের উপদ্রপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছেন জেলেরা। গত ৬দিনে এ পর্যন্ত ৩টি ডাকিতর ঘটনায় পুলিশ ও কোস্টগার্ড ৭ দস্যুকে আটক করেছে। কিন্তু তবুও যেন নদীতে মাছ শিকারে ভয় পাচ্ছে জেলেরা। জেলেরা বলছেন, নদীতে মাছ ধরার পড়ার সাথে সাথে দস্যুদের চোখ লাল হয়ে গেছে। সুযোগ নিয়েই জেলেদের উপর হামলা চালাচ্ছে দস্যু বাহিনী। মাছ, ট্রলার লটু করে মুক্তিপনের জন্য অপহরন করা হচ্ছে জেলেদের। এতে নদীতে যাওয়া আগ্রহ হারাচ্ছে জেলেরা।
ধনিয়া এলাকার মেঘনার জেলে বশির মাঝি জানান, নদীতে এখন মোটামুটি ভালো মাছ পড়ছে। কিন্তু দস্যুদের কারনে জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করতে ভয় পাচ্ছে। কারন, হঠাৎ করেই দস্যুদের উপদ্রপ বেড়ে গেছে।
ভোলার খাল ঘাটের মৎস্য আড়ৎদার আল-আমিন জানান, দিনের চেয়ে রাতের বেলায় জেলেদের ভয় বেশী। কারন এ সময়টাতে জলদস্যুরা আক্রম করে। তিনি বলেন, এখন নদীতে প্রচুর পরিমানে মাঝ ধরা পড়ছে কিন্তু জলদস্যুদের আতংকে নদীতে যেতে চাচ্ছে না জেলেরা। তাদের ভয় বেড়ে গেছে। জেলেরা নদীতে না গেলে মৎস্য ব্যবসায় মারাতœক লোকসান গুনতে হবে আমাদের।
এদিকে গত ১৫ জানুয়ারি ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনার চর জহির উদ্দিন পয়েন্টে ডাকাতির চেস্টাকালে ৪ দস্যুকে আটকের পর গনধোলাই দিয়ে পুলিশে তুলে দেয় জেলেরা। আটকৃতরা হলেন, এরআগে ১৩ জানুয়ারি মেঘনার বঙ্গের চর পয়েন্টে মাছ ধরার সময় মনির ও করিম নামের দুই জেলেকে অহরন করে নিয়ে যায় দস্যু বাহিনী। পরে কোস্টগার্ডের একটি দল ভোলার খাল পয়েন্ট থেকে অপহৃত দুই জেলেকে উদ্ধার করে। এ সময় আটক করা হয় সাজু নামের এক জলদস্যুকে।
এরআগে ১২ জানুয়ারি মেঘনার বঙ্গের চর নামক পয়েন্টে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ জলদস্যুদের বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের একটি টিম অভিযান চালালে দস্যুরা পালিয়ে যায়, এ সময় ধাওয়া করে থেকে ৯টি দেশীয় অস্ত্রসহ বাহাদুর ও কামালা নামের দুই দস্যুকে আটক করে কোস্টগার্ড।
ভোলা কোস্টগার্ড দক্ষিন জোনের অপারেশন অফিসার ল্যা. ওয়াসিম অকেল জাকি বলেন, জলদস্যু দমনে নদীতে আমাদের নিয়মিত টহল রয়েছে। এছাড়াও অভিযোগ পেলে কোস্টগার্ড তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, জেলার সাত উপজেলায় নিবন্ধিত দেড় লাখ জেলে ছাড়াও ২ লাখের অধিক জেলে রয়েছে, যারা প্রতিনিয়ত নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৩৯:১৯ ১৪৩ বার পঠিত |