ভোলাবাণী সাহিত্যঃ
সুখ পাখিকে না বুঝেই বুকে দিলাম ঠাঁই
সে উড়ে বেড়ায় দখিনা হাওয়ায় তৃপ্তির, দৃষ্টিতে আঁখি মেলে দর্শনে মনের দর্পে সাঁই
প্রেম পিয়াসী অপূর্ণ বৃক্ষ ভালোবাসা না পাই।
নয়নের নোনা জলে সাগর হলো লবণাক্ত
সাগরে নিরব থেকে ঝিনুক মুক্তায় তৃপ্ত,
সব দুঃখ সাগরের বাতাসে ভেসে ধুলিসাৎ
কষ্ট বেদনা মেঘের গর্জনে অগ্নি ফোয়ারার স্ফুলিঙ্গে অগ্নিপাত।
সব প্রেম উজাড় করে দিলাম প্রকৃতিতে
মানবের মাঝে স্রষ্ঠাকে খুঁজে পাই ধরনীতে,
পশুদের নারকীয়তা দেখে না চাই বাঁচতে
তোঁমার আলোয় উজ্জীবিত হৃদয় ভরপুর হাসিতে।
ধন মান প্রেম সবই দিলাম সৃষ্টিকে
হাতে হাত রেখে আলিঙ্গন চাই বৃষ্টিকে,
সময়কে ব্যভিচারে লিপ্ত করে প্রেমের মুগ্ধতায় ভাসতে দিলে না মনকে।
স্বামী স্ত্রীর পবিত্র মিলনে প্রেম বৃদ্ধি
হৃদয় ছোঁয়ার পরশে আত্মা পায় তৃপ্তি,
পরকীয়ার দাসত্বে বিলুপ্ত হয় জ্যোতি
মন হতাশায় নিমজ্জিত পেল না যে শান্তি।
পাহাড়ের চূড়ায় উঠে মিশে একাকার
ঝর্ণার পানি হয়ে আসব বারবার,
প্রকৃতির প্রেমিকেরা ভ্রমণ করবে আমার
অনলে জ্বলে মরে ভস্ম ছাই হবে হৃদয় তোমার।
সমুদ্রের বালুকাময় দুজনে স্নান করতে চাই
হাত ধরে বালুর মধ্যে পায়ে নূপুর দিয়ে, বেদনাকে বালুতে ভাসিয়ে সাগরকে দুঃখ দেই
সাগরের গভীরে গিয়ে নিজেকে লুকাই।
নিজের ভিতর ডুব দিয়ে তোমাকে পাই
অবাক বিস্মিত কেন তোমাতে ভুল করে?, মিশে যাই জোয়ারে সব বেদনা শেষে বালুকাময়ে ঘাসের পূর্ণজন্ম হয় পুর্নিমা রাতে ভালোবাসার মধুচন্দ্রিমা হৃদয় বাগানে চাষ করি তোমাতে মিশে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৪:৩৮ ১৯৪ বার পঠিত |