মোঃ ছালাহউদ্দিন,মনপুরা (ভোলা) সংবাদদাতা ॥
ভোলার মনপুরায় স্বামীর বাড়িতে শুক্রবার গলায় ফাঁস অবস্থায় ঝুলন্ত এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে অপমৃত্যু মামলা করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।
ওই গৃহবধুর পরিবারের বড় ভাই কাউছার দাবী করছে নির্যাতন করে তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির পক্ষে দেবর সাদ্দাম দাবী অভিমানে আতœহত্যা করেছে। তবে এই ঘটনার পর থেকে স্বামী মোঃ বেলাল পলাতক রয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের রহমানপুর গ্রামের স্বামী বেলালের বাড়ির ভেতরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ওই গৃহবধু হলেন, মোসাম্মদ কারিমা (২০)। উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হাইয়ের ছোট মেয়ে।
গৃহবধুর ভাই কাউছার জানান, তার বোন ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। যৌতুকের জন্য বোনের স্বামী বেল্লাল নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট হাতে পেলে থানায় মামলা করবো। ভাই কাছারের একটি অডিও রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।
গৃহবধুর শ্বশুর বাড়ির পক্ষে দেবর সাদ্দাম জানান, অভিমানে গলায় ফাসঁ দিয়ে আত্মত্যা করে।
মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফোরকান আলী জানান, স্বামীর বাড়ি থেকে গলায় ফাঁস অবস্থায় গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য ভোলায় প্রেরণ করা হয়েছে। ওই গৃহবধুর পরিবারের পক্ষে কেউ মামলা করেনি। তবে মামলা করতে চাইলে মামলা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২:২৬:৩৭ ২৭৯ বার পঠিত |