কবিঃ নায়লা পাইলট।।
মায়ের বুকের ধন অনাকাঙ্ক্ষিত অগ্নিকাণ্ডে
ধোঁয়াটে নিঃশ্বাস হচ্ছে যে অনেকের বন্ধ, অগ্নিদগ্ধ হয়ে অসহনীয় পুড়ে অঙ্গার তান্ডব
বেদনায় হাসপাতালে গগনবিদারী কান্নার আহাজারি আমি নিস্তব্ধতায় বিস্ময়ে তাকিয়ে রই।
মাতম করি আর কত শত বুক খালি করে অকালে প্রাণ হারাবে?
পরপর বিল্ডিংয়ে আগুন লেগে পোয়াতি বধূ পারে না বের হতে আর কত মরবে?,
বহুতল ভবনগুলো ঘুষ দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে তৈরি করা হবে
ফায়ারসার্ভিস কে আধুনিকায়ন কেন করা না হবে?
যুবক যুবতীরা জীবন বাঁচানোর শেষ আশা হিসেবে পাখির মতো ডিগবাজি খেয়ে উপর থেকে নিচে পড়ে প্রান দিবে
ধ্যানী গুণিরা কি আজ ও চুপটি মেরে বসে রবে,
আমাদের পরিবারের হাহাকার ঋণ কি করে তোমারা শোধ দেবে?
নিশ্চুপ কেন এবার ধ্যানমগ্নে ব্যস্ত আমাদের দেশের শীর্ষস্থানীয় বিবেকবান বুদ্ধিজীবি সাংবাদিক মহোদয়েরা?
রুখে দাড়াও সাধারণ জনতারা
দূর্গ গড়ে অগ্নিকাণ্ডের লীলাখেলার রহস্য উন্মোচিত কর তোমরা।
কান্নার আওয়াজ শুনে হৃদয় কম্পিত
আমীন! আমীন! আমীন বলে সান্ত্বনা বাণী এবার ধিক্কৃত,
কবি- সাহিত্যিক মহোদয়েরা হচ্ছে যে অজস্র অপমানিত
ভগ্নদশা অপরিকল্পিত বহুতল ভবন নির্মাণ বন্ধ করে হবো মোরা তৃপ্ত।
আমারা যার যার অবস্থান থেকে দেশের ফায়ারসার্ভিসকে আধুনিক ভাবে ঢেলে সাজানোর আন্দোলনে শরীক হয়ে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসব,
এ যুদ্ধে আমরা জয় ছিনিয়ে আত্মাকে শান্তি দেব,না ঘুমিয়ে এবার জেগে রবো।
বাংলাদেশ সময়: ৯:০৬:৩৮ ২৩২ বার পঠিত |