পূজা মোদের আত্মাকে করে পূর্ণ জাগরণ
জাগ্রত আত্মা শিথিল হয়ে শুদ্ধিকরণ,
মানব কল্যান করি বরণ
স্রষ্টাকে করি সর্বত্র আলিঙ্গন।
বল হরে ,হরে রাম ,কৃষ্ণ তাদের কর্মের দাম
মহামানব মনিষীদের করি মোরা প্রণাম,
মৃত্যুতে মোরা অমরত্ব পেলাম
দুংখ কষ্ট সব সহে গেলাম।
আরাধনা মনের ভক্তিতে পূজা করি শুরু
ধ্যান সাধনায় সাধক মনের গুরু,
পরমের দীদারে মন কম্পিত দুরুদুরু
নিজেকে দেখে স্রষ্টাকে পেলাম হৃদয়ের গুরু।
বন্দনায় প্রণাম সিক্ত আঁখি দুটো ডাগর ডাগর
পবিত্র আত্মা প্রসাদ আর তুলসি প্রেমে দিনের শুরু প্রহর,
আত্মা জেগে সৎকর্ম করে অন্তর কেঁপে থরথর
মনের বাগানে ফুল ফোটে মনোহর।
ভক্তি শ্রদ্ধা করি,দেবতাদের আছে মহা শক্তি,
মন্ত্র ,গীতাতে রয়েছে তাদের শক্তি,
জীবন্ত আত্মা দেয় মোদের শান্তি
মানবতার কল্যানে রবে নাকো কোন ক্লান্তি।
গানের সুরে তারা নাচে মন্ত্রের তালে তালে
দীক্ষা নেয় ধ্যানী সংযমী বাদ্য বাজনার তালে তালে,
মেলা চলে খেলা হয় মন্ডবের পাশে,
দেবতার ছবিতে জীবন্ত মূর্তি নেই ফুলের ব্যবসা হা হা করে হাসে,
ধুপ আগর বাতির সুঘ্রাণ ছড়িয়ে আসে
ভক্তি করি মন শুদ্ধ না করে আনন্দে চারপাশে।
দান দক্ষিণায় ভরপুর পূজার কাজ চলে
মাঝে মধ্যে নোংরামী নষ্টামি আসে চলে,
দূর করতে হবে হিংসা, অনাচার ফেলে
মুখরিত উৎসবমুখর হিন্দুদের পূজা চলে ।
আরাধনা করে মানুষ সাজে গুজে দলে দলে
অষ্টমীর শেষে পূজার লগ্ন চলে,
স্রষ্টাকে তোমরা কি কোথাও পেলে?
সৎকাজ করে যাবে সবকিছু ফেলে।
ভক্তি দিও মানবকে, মূর্তি দেয় না মনে শান্তি
স্রষ্টার দেবতারা কিভাবে দেবে মনে তৃপ্তি?,
পূজাতে ডুব দিয়ে নিজের মাঝে স্রষ্টাকে পেলাম
সব ব্যথা যন্ত্রণা ভুলে মোরা গেলাম।
বিদায় লগ্নে পূজার ঘন্টা বাজে
বিষাদের সাগরে বৃথা ভেসে যাই সাঁজে,
নিজের মাঝে পরমকে পাই মোরা খুঁজে
আমি বিস্মিত দুঃখে মরি লাজে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:০১:৫৭ ২৫৯ বার পঠিত |