কবিঃ নায়লা পাইলট।।
নিভৃত নির্জন নিস্তব্ধত আঁধার বিমূর্ত রাত
ভয়াল বুভুক্ষু সর্পের ছোবলে কালো রাত,
তিলে তিলে গিলে খেয়ে ভীতু প্রভাত
হায়েনার হিংস্রতা নারীর যৌনতা করেছে গোগ্রাস অগ্নিপাত।
২৫ মার্চ ছিল হিংসে আর গ্লানির হীনমন্যতা শাঁখেরকরাত ভেঙে ছিল পরাধীনতা,
মা আঁচল দিয়ে চোখ মুছে চেয়েছে স্বাধীনতা
দামাল ছেলে পতাকা আনবে প্রয়াশে জাগে মৌনতা।
বোধিবৃক্ষের দুর্মূল্যে চেরা কাঠের পাটাতনের খাটিয়ায় মাতৃভূমিতে
রক্তাত্ত বোধহীন, মেধাহীন, আত্মাহীন জন্মভূমিতে,
রাজাকার এই নব্য বধ্যভূমিতে
মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রয় বেলাভূমিতে।
দূরদৃষ্টিতে শুধু আমার বীভৎস অহমিকায় দেখে
চেনা মানুষের অচেনা মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রেখে,
যতনে বেরিয়ে আসে ঘরের শত্রু বিভীষনের কৃত্রিম রংতুলি মেখে
বিস্মিত হতবাক দূরদর্শী দোস্যুপনা ভয় লাগে।
ভয়ানক নির্দয় নির্মম নিষ্ঠুর ফন্দি তারা করে ফকির
মুখে মধু অন্তরে বিষ করে জাহির,
ভেতরে নষ্ট মানুষ,মুখে ফেনা তোলে ব্যস্ত মাহির
নির্মম লোক দেখানো প্রভুর জিকির।
আকাশের প্রোজ্জ্বল আলোকিত জ্যোতি দেখে মন পুলকিত,
হৃদপিণ্ড উবুড় হয়ে পড়ে বধ্যভূমি শিহরিত
সবুজপ্রান্ত স্বাধীন দেশে কুচক্রীবাজে মোরা কম্পিত
পত্র পল্লব প্রকৃতি ইতিহাস দিয়েছে ধিক্কৃত।
অস্তিত্বের পাহাড়ের বুকে ভাসে হাহাকার বিষাদের ছোঁয়া যন্ত্রণায় সব একাকার,
সুরে মূর্ছনা প্রবাহিত রক্তিম ঝর্ণাধারা বহু প্রকার
লজ্জিত ঘৃণিত আমার লাল সবুজ পতাকার।
আঁখি সিক্ত বুকে খিলমাখা কষ্ট আমার
আবেগী দৃঢ় প্রত্যয়ে স্বাধীনতা মোর,
পূর্বপুরুষের কষ্টে অর্জিত লাল-সবুজের মূল্যবান কাপড়
আমার বিবেককে দেয় থাপ্পড়।
আমি ও পাগল মাতলামী করি
বিজয় ও মুখোশ চিনতে ভুল করি,
মুখোশধারী দানবদের কোলাকুলি করি
বিষধর পদ্মগোখরা ফুলের মালা গলায় পরি।
সময় এসেছে পশুজাতকে তাড়াব
ছলনার বিষ পানে মারব,
একতার সাগরে ভেসে যাব
জয়ের তিলক কপালে দেব।
বিজয় পেয়ে ও মুখোশের আড়ালে নয় পরাজয়
মোরা ছিনিয়ে আনি জয়,
এতো শত কোটি শপথের দুর্জয়
আমরা বেঁচে থাকব প্রত্যাশায়।।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৯:২৫ ৮০৯ বার পঠিত |