সারা দেশে এখন নির্বাচনী আমেজ

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সারা দেশে এখন নির্বাচনী আমেজ
শনিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৮



---ভোলাবাণী সম্পাদকীয়।।সারা দেশে এখন নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। কোন দল থেকে কোথায় কাকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ভোটযুদ্ধে কোন প্রার্থী কার চেয়ে এগিয়ে, কোন কারণে কে পিছিয়ে—এ বিষয়েও কর্মী-সমর্থক-ভোটারদের মধ্যে আলোচনা চলছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলের কাছে মনোনয়ন চেয়ে এলাকায় প্রচারে নেমে গেছেন। চলছে জনসংযোগ ও ভোট প্রার্থনা। এবারের নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন নেই—এমন রাজনৈতিক দলও কোনো না কোনো জোটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। নির্বাচনী জোটের আকার বড় হতে পারে—এমন খবরও এসেছে গণমাধ্যমে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আলোচনা, দেন-দরবার করছে। সবারই প্রত্যাশা, সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশে সব নির্বাচনই উৎসবমুখর পরিবেশে হয়ে থাকে। নির্বাচনের সময় ইসিকে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পালন করতে হয়। তবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব অংশীজন তথা রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বও কম নয়। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রধান শর্ত হচ্ছে নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক রাখা। উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হলেও অনেক সময় দেখা যায়, নির্বাচনের আগে-পরে পরিবেশ সাংঘর্ষিক হয়ে ওঠে। অনেক সময় প্রার্থী বা দলীয় কর্মী-সমর্থকরা পরস্পরের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। ক্ষেত্রবিশেষে হতাহতের ঘটনাও ঘটে। এরই উদাহরণ তৈরি হয়েছে গত বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে। তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষের সূত্রপাত। রাস্তায় পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে, কর্মী-সমর্থকদের সতর্ক করতে হবে। কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া থেকে দলীয় নেতৃত্ব বিরত থাকলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না। অন্যদিকে সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থায় থাকাও জরুরি। নির্বাচনের পরিবেশ যদি স্থিতিশীল রাখা যায়, তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যতা পাবে। নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার হতে পারে—এমন আশঙ্কা বরাবরই করা হয়ে থাকে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হলে পেশিশক্তি কোনোভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। নির্বাচনে দল ও দলীয় প্রার্থী আচরণবিধি মেনে চললে নির্বাচনের যথোপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা অসম্ভব হবে না। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোকেও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। প্রার্থী মনোনয়নে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। সৎ, যোগ্য ও স্বচ্ছ প্রার্থী মনোনয়ন দিলে ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। প্রার্থী নিজের যোগ্যতায় ভোটারদের মন জয় করতে পারলে কালো টাকা ও পেশিশক্তি কোনোভাবেই প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। আমরা আশা করব, প্রার্থী মনোনয়নে রাজনৈতিক দলগুলো সাবধানতা অবলম্বন করবে এবং নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাবে

বাংলাদেশ সময়: ২১:১৭:০৩   ৪২৪ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


তজুমদ্দিনে ঢাকাগামী লঞ্চ থেকে ৩শ কেজি পাঙ্গাসের পোনা আটক ॥
প্রাইম ইউনিভার্সিটি ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির মধ্যে যৌথ চুক্তি স্বাক্ষরিত
ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪ আপনারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন-মোহাম্মদ ইউনুছ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪ লালমোহনে দোয়াত কলম সমর্থকদের ওপর শালিক সমর্থকদের হামলার অভিযোগ
চরফ্যাশনে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য নিহত
ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় চলছে বাগদার রেণু শিকারের মহোৎসব
ড্রেজারে সরকারি জলাশয়ের মাটি খনন ঝুঁকিতে মুজিব কিল্লা
চরফ্যাশনে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
এসএসসিতে বরিশাল বোর্ডে শীর্ষে পিরোজপুর জেলা
ভোলা শহরে নেই কোন গণশৌচাগার ॥ জনগনের ভোগান্তি চরমে

আর্কাইভ