॥ভোলাবাণী।। আমি প্রথমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। যিনি সুন্দর একটি বাংলাদেশ আমাদের উপহার দিয়েছেন।
পাশাপাশি আমি স্মরণ করি যিনি আমাকে রাজনীতি শিখিয়েছেন। যার ঋণ কখনও আমি শোধ করতে পারব না। আমি প্রতিদিন নামাজ পড়ে যার জন্য দোয়া করি তিনি হলেন রাজ্জাক ভাই। আজ আব্দুর রাজ্জাক ভাই আমাদের মাঝে নেই। আমার রাজনৈতিক জীবনে তার অবদান সবচেয়ে বেশি। আমার মা তাকে ছেলের মতো স্নেহ করতেন। আমার গালে একটি চুমো দিলে রাজ্জাক ভাইয়ের গালেও একটি চুমো দিতেন আমার মা।
মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুরের পূর্ব-মাদারীপুর কলেজ মাঠে মাদারীপুর কলেজ সরকারিকরণ উপলক্ষে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় বঙ্গবন্ধু ও প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাককে স্মরণ করে এভাবেই কান্না শুরু করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। একপর্যায়ে রুমাল দিয়ে নিজের চোখের পানি মোছেন তিনি।
কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটা নেতাহীন দল। বিএনপি ২০১৩ সালে হত্যা, খুন ও অগ্নিসংযোগ করেছিল। নির্বাচন বানচাল করার জন্য ২০১৪ সালে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেছিল। অনেক মায়ের কোল খালি করেছিল। ২২ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছিল। তারপরও সফল হয়নি। ২০১৫ সালে হরতাল-অবরোধ করেও সফল হয়নি। আগামীতেও সফল হবে না বিএনপি।
তিনি বলেন, দুর্নীতির কারণে দলের প্রধান খালেদা জিয়া জেলে, তারেক জিয়ার যাবজ্জীবন হয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ড. কামাল। তারপরও ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসবে আওয়ামী লীগ। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে মধ্যমআয়ের দেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে হবে উন্নত দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। পদ্মা সেতু করতে বিশ্বব্যাংক বলেছিল টাকা দেবে না। প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই পদ্মা সেতুর ৬০ শতাংশ আজ দৃশ্যমান। পায়রা বন্দরটি সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। তার পাশেই চীনা কোম্পানি ও বাংলাদেশের একটি কোম্পানি মিলে ৬ হাজার বিঘা জমির ভেতর ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ৫৭টি দেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে অকল্পনীয় উন্নয়ন হয়েছে। ভবিষ্যতে দক্ষিণাঞ্চল হবে বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন- শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক। শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ডামুড্যা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন মাঝি, ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার কামাল উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বাবলু সিকদার, ডামুড্যা পৌরসভার মেয়র হুমায়ুন কবির বাচ্চু ছৈয়াল, সাবেক মেয়র রেজাউল করিম রাজা ছৈয়াল, পূর্ব-মাদারীপুর কলেজের অধ্যক্ষ জহিরুল্লাহ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিএম আ. সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান শামিম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামন মন্টি মাঝি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪৬:৩২ ২১২ বার পঠিত |