ছোটন সাহা ॥ভোলাবাণী।।
নির্মল বাতাস, তেতুঁলিয়ার ঢেউ আর সবুজের মিতালী উপভোগ করতেই ভোলার বাঘমারা ব্রীজে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। প্রতিদিন বিকাল হলেই সেখানে মানুষের ঢল নামে। ব্রীজের এপার-ওপার দাঁড়িয়ে সৌন্দর্য্য উপভোগ করছেন ঘুরতে আসা মানুষ। শিশু-কিশোর, তরুন-তরুনীসজ বিভিন্ন বয়সের ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ মেতে উঠছেন ঈদ উৎসবের আনন্দে।
ব্রীজের অর্ধকিলোমিটার এলাকা জুড়ে পর্যটকদের ঢল নেসেছে। এখানে এসে কেউ জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন, কেউ সেলফি তুলছেন, কেউ বসে সময় পার করছেন। কেউবা গিটারে গান গেয়ে যাচ্ছেন মনের সুখে। কেউ আবার তেতুঁলিয়া নদীতে নৌকা, ট্রলার ও স্পিড বোট নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে দুর-দুরিন্ত থেকে আসা ভ্রমন পিপাসু মানুষ খুজে পাচ্ছেন বিনোদন পেতেই চলে আসছেন ব্রীজে।
ঘুরতে আসা কয়েকজন জানান, ব্রীজটিকে কেন্দ্র করে এখানে বিনোদন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। প্রকৃতির মনোরম দৃশ্য আর ব্রীজের সৌন্দর্য্য দেখতে ছুটে মানুষ আসছেন। এসেই যেন মুগ্ধ হচ্ছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেলে, জেলার সর্ববৃহৎ বাঘমারা ব্রীজে প্রতিটি উৎসব ছাড়াও বন্ধের দিন শুক্র-শনিবার মানুষের ভীড় জমে। এবার ঈদের ছুটিতে হাজারো দর্শনার্থীদের ভীড় জমেছে।
ভোলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দুরে বৃহৎ ইউনিয়ন উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে অবস্থিত বাঘমারা ব্রীজ। ব্রীজটি ভোলা ভেলুমিয়া সহ পটুয়াখালী জেলার সাথে যোগাযোগের একটি মাধ্যম। ভোলা জেলার যে কোন উপজেলা থেকে খুব সহজেই বাঘমারা ব্রীজে সহজেই আসা যায়।
এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে ব্রীজে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শুধু বাঘমারা ব্রীজ নয়, ঈদ জমজমাট হয়েছে ভোলার বিনোদন কেন্দ্রগুলো। বিশেষ করে তুলাতলী, সরকারি স্কুল মাঠ, জেলা ও পৌরসভা চত্বর, বোরহানউদ্দিনের তেঁতুলিয়া রিভার ইকো পার্ক, লালমোহনের সজিব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্ক, চরফ্যাশনের জ্যাকব টাওয়ার, খামার বাড়ি, শেখ রাসেল শিশু পার্ক ও বেতুয়া পাড়সহ জেলার অন্তত ২০টি স্পট পর্যটকদের আগমনে মুখরিত
বাংলাদেশ সময়: ৯:৩৩:২৪ ৬৭৪ বার পঠিত |