ইয়াছিনুল ঈমন
বাংলাদেশ বার্ড কাবের ৭ পাখি পর্যবেক্ষকের একটি দল ভোলা থেকে আন্তর্জাতিক জলচর-পাখি গণনার কাজ শুরু করেছে। সোমবার কুয়াশা ঢাকা শীতের সকালে মাছধরার ২টি ট্রলারে করে লটবহর নিয়ে তারা ভোলার খেয়াঘাট থেকে জলপাখি গণনা কাজ শুরু করেন।
ভোলা, লক্ষীপুর, নোয়াখালী ও পটুয়াখালী জেলার উপকূলীয় পাখি-সমৃদ্ধ ২৫-৩০টি চরে ৯ দিনব্যাপী চলবে এ জলচর-পাখি গণনা কাজ। বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরের কূলঘেষা ভোলা, মনপুরা, হাতিয়া, চর-বারি, নিঝুম দ্বীপ, দমার-চর, চর-শাহজালাল ও ঢাল-চরসহ বেশকিছু চরের জলবিরল অংশে চলবে এ কার্যক্রম।
১৯৮৭ সাল হতে উৎসাহী পাখিপ্রেমী, পর্যবেক্ষক ও গবেষকদের স্বেচ্ছাশ্রমে বাংলাদেশের পাখি-সমৃদ্ধ জলাভূমিতে এ গণনাকাজ পরিচালিত হয়ে আসছে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন জলাশয়ের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের জন্য জানুয়ারি মাসের ২য় ও ৩য় সপ্তাহে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে পৃথিবীর প্রায় সবদেশেই জলচর-পাখি গণনা করা হয়। ওয়েটল্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ গণনার উপাত্তসমূহ পুস্তক ও পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করে থাকে যা পৃথিবীর জলচর-পাখির গুরুত্বপূর্ণ দলিল বলে গন্য করা হয়।
পাখি পর্যবেক্ষকদের মতে, বিশ্বের ‘মহাবিপন্ন’ পাখি চামচঠুঁট-বাটান এবং সংকটাপন্ন পাখি দেশি গাঙচষা, বড় নট ও বড়গুটি ঈগল ছাড়াও অনেক প্রজাতির হাস ও সৈকতপাখি শীতে ভোলার চরগুলিতে এসে বসবাস করে। তাই বিশ্বের বহু বিপন্ন পাখির টিকে থাকার জন্য এই অঞ্চলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ বার্ড কাবের সদস্য ও পর্বত আরোহী এম.এ মুহিত এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দলটিতে রয়েছেন- বিশ্বের ৫০টিও বেশি দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পর্যবেক্ষক বার্ড কাবের সম্পাদক তারেক অনু, সারোয়ার আলম দিপু, সায়েম চৌধুরীসহ অন্যান্যরা।
ঢাকা থেকে ৭ জানুয়ারি যাত্রাশুরু করা এ দলটি উপকূলের জলচর-পাখি গণনা কাজ শেষে ১৬ জানুয়ারি আবার ঢাকা ফিরবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৯:৩৫ ৩৫৩ বার পঠিত |