স্টাফ রিপোর্টার ॥ভোলাবাণী।।
ভোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে রেজিষ্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৩জন আহত হয়। আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এই ঘটনায় প্রথম আলোর ভোলা প্রতিনিধি নেয়ামত উল্ল্যাহকে লাঞ্চিত করে তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে হামলাকারীরা।
প্রত্যেক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ১০টায় ভোলা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে রেজিষ্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বিএনপির সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান এর নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী পরিষদের মনোনীতি প্রার্থী কেএম আমিরুজ্জামান (শিমূল)কে সঙ্গে বিএনপি প্যানেলে ভোট চাইতে কলেজ প্রাঙ্গনে ঝড়ো হয়। পরে ধাপে ধাপে বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য হায়দার আলী লেলিন সহ নেতৃবৃন্দ প্যানেলকে বিজয়ী করার জন্য ভোট দিতে ভোলা কলেজ প্রাঙ্গনে ঝড়ো হতে থাকে। পরে জেলা ছাত্রদল সভাপতি খন্দকার আল আমিন ও সম্পাদক মিজানুর রহমান মাসুদের নেতৃত্বে ছাত্রদলের কয়েকটি মিছিল কলেজ প্রাঙ্গনে আসতে থাকে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ভোলা কলেজে প্রাঙ্গনে এসে অবস্থান নেয়। এসময় জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে স্বেচ্ছাসেবকলীগের কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে দাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক নুর মোহাম্মদ রুবেল, মামুন, জুবায়ের হোসেন সাব্বীর নয়ন ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাদ্দাম সহ এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৩জন আহত হয়। এতে কলেজ প্রাঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করে। আহতদেরকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ভোলা থানার ওসি খায়রুল কবিরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আবু সায়েম জানান, বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও তার অঙ্গসংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে রেজিষ্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি ভোট দিতে গিয়ে তারা কলেজে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে তাদের সাথে আমাদের কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাদ্দাম সহ আমাদের ৫ কর্মী গুরুতর আহত হয়।
জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেন, সিনেটে রেজিষ্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীকে ভোট দিতে কলেজে যাই। এসময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে হঠাৎ আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমাদের ছাত্রদলের ৮জন কর্মী গুরুতর আহত হয়। তাদের অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা এ ন্যাক্কারজন হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, সিনেটে রেজিষ্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ ও বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী পরিষদ প্যানেলের ২৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। সারা দেশের ২৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ভোলা সরকারি কলেজ কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ছিলো ২৬৮টি জন।
বাংলাদেশ সময়: ৮:৫২:১৬ ১৮৩ বার পঠিত |