শীতের ভ্রমণে সোনারচর সমুদ্রসৈকত

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » শীতের ভ্রমণে সোনারচর সমুদ্রসৈকত
বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭



---।।ভোলাবাণী।। বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সোনারচর। পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলা সীমান্তে অবস্থিত ।

এ চরের ভ্রমণ সম্পর্কে লিখেছেন মজিবর রহমান নাহিদ-


অবস্থান
পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটার পরই রয়েছে আরেকটি সমুদ্রসৈকত। যার নাম সোনারচর সমুদ্রসৈকত। জেলা সদর থেকে প্রায় দেড়শ’ কিলোমিটার এবং গলাচিপা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে সাগরের মাঝখানে এর অবস্থান।

---বৈশিষ্ট্য
সোনারচর সমুদ্রসৈকতের তটরেখায় আছড়ে পড়ে ছোট-বড় ঢেউ। এ চরে আছে হরিণ, বানর, শুকরসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণি। সেইসঙ্গে ২০ হাজার ২৬ হেক্টর সংরক্ষিত বনভূমি। ২০০৪ সালে বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে জেগে ওঠে এ চর। পরে পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগ বনায়ন করে এখানে। এখানে রয়েছে নানা প্রজাতির পাখিও। ২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সংরক্ষিত এ বনভূমি বন্যপ্রাণির জন্য অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। প্রতিদিন শত শত ভ্রমণপিপাসু আসেন এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত
এখানে প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত রয়েছে। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে- এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়।

লাল কাঁকড়া
সোনারচরের আরো একটি আকর্ষণীয় দিক হলো লাল কাঁকড়া। প্রায় ১০ কিলোমিটার লম্বা সমুদ্রসৈকতজুড়ে অসংখ্য লাল কাঁকড়ার বিচরণ লক্ষ্য করা যায়। কাঁকড়ার এ প্রজাতি সামুদ্রিক হলেও চরের বালুমাটিতে বসবাস করে। বালুর গভীরে তৈরি সুড়ঙ্গে দলবেঁধে চলাচল করে। জোয়ারের পানিতে সৈকত যখন ডুবে যায়; তখন ওরা নিরাপদ আশ্রয় নেয় সুড়ঙ্গে।

---কিভাবে যাবেন
ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চযোগে কিংবা সড়কপথে বাসযোগে পটুয়াখালী যাবেন। সেখান থেকে গলাচিপা উপজেলা সদর হয়ে সড়কপথে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে পানপট্টি লঞ্চঘাট। লঞ্চঘাট থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারযোগে আগুনমুখা মোহনা পেরিয়ে দক্ষিণে যেতে হবে। ডিগ্রি নদীর বুক চিড়ে একটু বাঁয়ে গেলেই বুড়া গৌরাঙ্গ নদী। সামনে গিয়ে বাঁক ঘুরতেই দাঁড়ছিড়া নদী।

এছাড়া ট্রলার কিংবা লঞ্চযোগে আগুনমুখা মোহনা থেকে ঘণ্টাতিনেক এগোলেই দ্বীপচর তাপসী। তাপসীর বাঁকে পৌঁছতেই সোনারচর। তাপসী থেকে ৩০ মিনিট সামনে এগোলেই সোনারচর। অন্যদিকে সদরঘাট থেকে রাঙাবালীর লঞ্চে চরকাজল নামার পর ছোট লঞ্চে চরমন্তাজ গিয়ে ট্রলারে সোনারচর যাবেন। তবে গলাচিপা লঞ্চঘাট থেকে স্পিড বোটে সোনারচরে যেতে মাত্র দেড় ঘণ্টা লাগবে। আবার কুয়াকাটা থেকেও সোনারচরে যাওয়া যায়। যেতে হবে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে। ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে সময় লাগবে ঘণ্টাতিনেক।

কোথায় থাকবেন
রাত কাটানোর জন্য এখনও নিরাপদ ও আরামদায়ক ব্যবস্থা হয়ে ওঠেনি। তবে প্রশাসনের উদ্যোগে পর্যটকদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে তিন কক্ষের একটি বাংলো। ইচ্ছে করলে রাতে সেখানে থাকতে পারেন। এছাড়া রয়েছে বন বিভাগের ক্যাম্প। সেখানে কিছুটা কষ্ট হলেও পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা আছে। এছাড়া থাকার জন্য চাইলে চলে যেতে পারেন চরমন্তাজে। সেখানে বন বিভাগ, স্যাপ বাংলাদেশ ও মহিলা উন্নয়ন সমিতির ব্যবস্থাপনায় রাত যাপনের জন্য বাংলো রয়েছে। সুত্র-জাগো নিউজ

বাংলাদেশ সময়: ২৩:২২:৫৮   ১১০৯ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


তজুমদ্দিনে ঢাকাগামী লঞ্চ থেকে ৩শ কেজি পাঙ্গাসের পোনা আটক ॥
প্রাইম ইউনিভার্সিটি ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির মধ্যে যৌথ চুক্তি স্বাক্ষরিত
ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪ আপনারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন-মোহাম্মদ ইউনুছ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪ লালমোহনে দোয়াত কলম সমর্থকদের ওপর শালিক সমর্থকদের হামলার অভিযোগ
চরফ্যাশনে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য নিহত
ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় চলছে বাগদার রেণু শিকারের মহোৎসব
ড্রেজারে সরকারি জলাশয়ের মাটি খনন ঝুঁকিতে মুজিব কিল্লা
চরফ্যাশনে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
এসএসসিতে বরিশাল বোর্ডে শীর্ষে পিরোজপুর জেলা
ভোলা শহরে নেই কোন গণশৌচাগার ॥ জনগনের ভোগান্তি চরমে

আর্কাইভ