জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের স্বীকৃতি

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের স্বীকৃতি
বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭



---ভোলাবাণী আন্তর্জাতিক ডেক্স।।

ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ভাষণে জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসে এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিরোধপূর্ণ জেরুসালেম শহরকে এই স্বীকৃতি দিয়েছেন। জেরুজালেম শহর মুসলিম, খ্রিষ্টান ও ইহুদি তিন ধর্মের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এখানে মুসলিমদের তিনটি প্রধান মসজিদের একটি ‘আল-আকসা’ অবস্থিত। কাবাঘরের আগে এই আল-আকসা মসজিদের দিকে মুখ করেই মুসলমানরা নামাজ আদায় করতেন।

এই সিদ্ধান্ত কয়েক দশকের আমেরিকান নীতিকে বদলে দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও ঘোষণা করেছেন, যে আমেরিকান দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুসালেমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি বলেছেন, এই সিদ্ধান্তের মানে এই নয় যে আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার দৃঢ় অঙ্গীকার থেকে সরে আসছে। দীর্ঘ দিনের ইসরায়েল ফিলিস্তিনি সংঘাতের অবসান ঘটাতে আমেরিকা দুই রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন জানাতে প্রস্তুত, যদি উভয় পক্ষ সেটাই চায়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভাষণের আগে আমেরিকান কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তিনি শুধু এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়েছেন যে, জেরুসালেম ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে বেশি কার্যকর। যদিও ফিলিস্তিনিরা জেরুসালেমকে তাদেরও রাজধানী হিসাবে দাবি করে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ ছিল ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষিত।’

এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একজন মুখপাত্র সাবধান করে দেন যে, এই সিদ্ধান্ত এলাকার জন্য ‘বিপজ্জনক পরিণতি ডেকে আনবে।’ অন্যদিকে ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

কিন্তু এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় নিন্দা জানিয়ে প্যালেস্টাইনের নেতা মাহমুদ আব্বাস এটিকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আর হামাস ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, এই সিদ্ধান্ত এতদ অঞ্চলে ‘নরকের দ্বার খুলে দেবে’। সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বলেছেন, এই ঘোষণা ‘সারা পৃথিবীর মুসলিমদের ঘোরতরভাবে প্ররোচিত করবে’।

এই ঘোষণার প্রতিবাদে ইতোমধ্যেই গাজায় এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুলে মার্কিন কনসুলেটের সামনে মিছিল হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বাঁকবদলকারী সিদ্ধান্তটিকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ‘ভীষণ উদ্বেগের মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন না করে বলেছেন, সে অঞ্চলে শান্তি আনয়নের পথে এটি কোনো উপকারী পদক্ষেপ হবে না।

এছাড়া ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান কূটনীতিক ফেদেরিকা মোগেরিনি-ও বিষয়টিকে উদ্বেগের বলে মনে করছেন।-বিবিসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:২৯:০১   ১৯৯ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


চরফ্যাশনে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য নিহত
ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় চলছে বাগদার রেণু শিকারের মহোৎসব
ড্রেজারে সরকারি জলাশয়ের মাটি খনন ঝুঁকিতে মুজিব কিল্লা
চরফ্যাশনে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
এসএসসিতে বরিশাল বোর্ডে শীর্ষে পিরোজপুর জেলা
ভোলা শহরে নেই কোন গণশৌচাগার ॥ জনগনের ভোগান্তি চরমে
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচনমটরসাইকেল ও উড়োজাহাজ প্রার্থীর গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ
বিভাগীয় পর্যায়ে লোক ও উচ্চাঙ্গ নৃত্যে ভোলার মেয়ে অহনার ১ম স্থান অর্জন
মনপুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা ॥ ১ জনের মনোনয়ন বাতিল ॥
এসএসসির ফলাফল জানা যাবে যেভাবে

আর্কাইভ