মোঃআমজাদ হোসেন ।।ভোলাবাণী।। লালমোহন প্রতিনিধিঃ
লালমোহনে কোকো-৪ লঞ্চ ডুবির ট্র্যাজেডির ৮ম বর্ষ আজ ২৭ নভেম্বর। এ উপলক্ষে লালমোহন প্রেসক্লাবের আয়োজনে আলোচনা সভা ও প্রেসক্লাবের নতুন ভবনের উদ্ভোধন করেন প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য ভোলা- ৩ আসনের সংসদ সদস্য অালহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি।লালমোহন প্রেসক্লাবের স্থায়ী অফিসের জায়গা না থাকায় জেলা প্রশাসকের এ জায়গায় একটি রুম দিয়ে প্রেসক্লাবের সদস্যদের বসার ব্যাবস্থা করেন এমপি শাওন।এসময় তিনি বলেন,জেলা পরিষদের এই জায়গায় একটি অাধুনিক মানের মার্কেট তেরি করবেন সেই সাথে প্রেসক্লাবের জন্য একটি রুম তৈরি করে দিবেন।প্রেসক্লাবের সদস্যদের দাবীর প্রেক্ষিতে একটি ৩২ ” এলইডি টিভি নিজ অর্থায়নে কিনে দিবেন বলেও উপস্হিত সকলকে জানান।এসময় তিনি
কোকো-৪ লঞ্চ ডুবির ট্র্যাজেডির ৮ম বর্ষের অালোচনায় নিহতদের স্মৃতিচারণা করে বলেন ২৭ নভেম্বর কোকো-৪ লঞ্চটি গভীর রাতে যখন ডুবে মানুষ মারা যায় অামি তখন এমপি ছিলাম না তার পরেও অামি আমার এ জন্মস্থানে এসে লঞ্চ ডুবিতে মারা যাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির বাড়ি বাড়ি গিয়ে নগদ দশ হাজার টাকা করে দিয়েছি।
লালমোহন উপজেলার গজারিয়া পশ্চিম বাজারের তখনকার বেঁচে যাওয়া ৯ বছরের শিশু কামাল উদ্দিন বাচ্চুর মুখের কথা ছিলো এমনটাই, চোখের সামনেই ডুবে যাচ্ছে এমভি কোকো-৪। হাজার হাজার মানুষের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছিলো চারপাশ।সেদিন লঞ্চে আমরা দুই ভাই,মা,আপু এবং মামা ছিলেন।সবাইকে মূহুর্তের মধ্যেই হারিয়ে ফেলেছি,শুধু মামা ও আমি বেঁচে আছি।সেদিনের কথা মনে পড়লে আজও শরীর শিঁউড়ে ওঠে,বাক রুদ্ধ হয়ে যায় আমি।উল্লেখ্য,সময়টা ২০০৯ সালের ২৭ নভেম্বর। ঈদ উল আযহা উদযাপন করতে বাড়ি ফিরছিলো সবাই। ভোলার লালমোহনের নাজিরপুর ঘাটের কাছাকাছি ডুবে যায় এমভি কোকো-৪। এতে প্রাণ হারান ৮১ জন। কিন্তু আট বছরেও সেই শোক কাটিয়ে ওঠেনি স্বজনহারাদের পরিবার।কোকো দুর্ঘটনায় মামলার সাজাও হয়েছ। তার পরও নদী পথের চিত্রটা তেমন একটা পাল্টায়নি। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন বহু মানুষ।নদী পথ নিরাপদ করতে সব ধরনের ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। ভোলার ৭ উপজেলায় থেকে ঢাকা-ভোলা-বরিশালসহ বিভিন্ন রুটে প্রতিদিন চলাচল করে শতাধিক লঞ্চ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:১১:১৭ ১৭৩ বার পঠিত |