ভোলায় হেল্প এন্ড কেয়ারের আয়োজনে জনসচেতনতা মূলক কর্মসূচি

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ভোলায় হেল্প এন্ড কেয়ারের আয়োজনে জনসচেতনতা মূলক কর্মসূচি
মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট ২০১৭



---ইয়াছিনুল ঈমন ।।সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ।।ভোলাবাণী।।

“যেখানে দেখিবে ময়লা-আবর্জনা, সেখানে করিবে পরিষ্কার-পরিচ্ছনতা” এ স্লোগানকে সামনে রেখে ভোলায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হেলপ এন্ড কেয়ারের উদ্যোগে পৌরসভা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ভোলা পৌরসভার সামনে থেকে একটি বর্নাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহা. সেলিম উদ্দিন ও পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। র্যালীতেপৌর শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লাকাড প্রদর্শন করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শাহে আলম, ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ছালাহ উদ্দিন লিংকন,৫নং কাউন্সিলর মিথুন মোল্লা, ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আতিকুর রহমান,৯নং কাউন্সিলর শামীম আহমেদ,ভোলা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দীন আরজু,জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম চৌধুরী পাপন,এন টিভির স্টাফ রিপোর্টার আফজাল,বৈশাখী টিভি প্রতিনিধি হোসাইন সাদী,ভোলা নিউজন২৪ এর প্রকাশক আরিফ উদ্দিন রনি, হেলপ এন্ড কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা রাকিব উদ্দিন আহমেদ ওমি, হেলপ এন্ড কেয়ারের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন।
হেলপ এন্ড কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা রাকিব উদ্দিন আহমেদ ওমি জানান আমরা নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলি না, যত্রতত্র ময়লা ফেলে দুর্গন্ধ ছড়াই। সকালে ঘর থেকে বের হতেই আপনাকে বদগন্ধ আমন্ত্রণ জানাবে। এরজন্য পৌরসভা দায়ী না, আপনি নিজে দায়ী।
আমরা ডাস্টবিনের ভেতরে ময়লা না ফেলে বিশাল এলাকা জুড়ে ময়লা ফেলে পুরো এলাকাকে করে তুলি দুর্বিষহ। নিজেও পথ দিয়ে যাওয়ার সময় সেই ময়লাই মাড়িয়ে আপনাকে পথ চলতে হচ্ছে। আপনার স্কুলগামী ছেলে-মেয়েরাও এর শিকার। আমরা এই আবর্জনাকে ইচ্ছে করলে সম্পদে পরিণত করতে পারি। পেতে পারি পরিবেশ দূষণ থেকে মুক্তি। আমরা জানি, এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎপন্ন আবর্জনার সামান্য পরিমাণ পুন:প্রক্রিয়াজাতকরণ হয়ে থাকে। আবর্জনা থেকে জৈব উপাদান যা উৎকৃষ্ট মানের কম্পোষ্ট অর্থাৎ জৈব সার উৎপাদনে সাফল্যজনকভাবে ব্যবহৃত হতে পারে। রাসায়নিক সারের সাথে কম্পোষ্ট ব্যবহার করলে গাছ সহজেই ফসফরাস ও নাইট্রোজেন পেতে পারে। অধিকন্তু মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি করে। এছাড়াও বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেললে পরবর্তীতে পরিবেশ দূষণ হ্রাস পাবে। উপরন্তু পরিবেশ সম্মত জৈব সার উৎপাদনের মাধ্যমে মাটির উর্বতা বৃদ্ধি পাবে। বৃদ্ধি পাবে ফলনও।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪৬:৫৩   ৩০৭ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


তজুমদ্দিনে ঢাকাগামী লঞ্চ থেকে ৩শ কেজি পাঙ্গাসের পোনা আটক ॥
প্রাইম ইউনিভার্সিটি ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির মধ্যে যৌথ চুক্তি স্বাক্ষরিত
ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪ আপনারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন-মোহাম্মদ ইউনুছ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪ লালমোহনে দোয়াত কলম সমর্থকদের ওপর শালিক সমর্থকদের হামলার অভিযোগ
চরফ্যাশনে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য নিহত
ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় চলছে বাগদার রেণু শিকারের মহোৎসব
ড্রেজারে সরকারি জলাশয়ের মাটি খনন ঝুঁকিতে মুজিব কিল্লা
চরফ্যাশনে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
এসএসসিতে বরিশাল বোর্ডে শীর্ষে পিরোজপুর জেলা
ভোলা শহরে নেই কোন গণশৌচাগার ॥ জনগনের ভোগান্তি চরমে

আর্কাইভ