আসাদুল ইসলাম সবুজ ।।ভোলাবাণী।। লালমনিরহাট ॥ লালমনিরহাটের তিস্তা রেলস্টেশনে আবারও তেল চুরি স্বর্গরাজ্য পরিনিত হয়েছে। শুধু মালবাহী ইঞ্জিন নয়, যাত্রীবাহী ইঞ্জিনের তেল চুরিসহ রেলওয়ের মুল্যবান সম্পদ লুটপাট হলেও রেলওয়ে প্রশাসন নীরব ভুমিকা পালন করছেন।
অনুসন্ধানচালিয়ে জানা গেছে, জেলা শহরের প্রবেশদ্বারে অবস্থিত তিস্তা রেলওয়ে স্টেশন। জেলা শহর থেকে প্রায় ১৪ কিঃ মিঃ দুরত্ব। তিস্তা স্টেশনটি লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম ও রংপুর বিভাগের সাথে রেল যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। ৩ জেলার সাথে একমাত্র রেলপথ হওয়ায় তিস্তা স্টেশনে প্রতিদিন গড়ে ৬/৮টি যাত্রীবাহী ট্রেন ও ২/১টি মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। জেলা শহর থেকে প্রায় ১৪ কিঃ মিঃ দুরত্ব হওয়ার সুবাদে তিস্তা স্টেশনে প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় তিস্তা রেল স্টেশন মাষ্টার, কতিপয় অসাধু রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী, ড্রাইভার, ট্রেনের পরিচালক, জিআরপি পুলিশের সহযোগীতায় দিন নয়, রাত নয়, সুযোগ পেলে স্থানীয় চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা দেদারছে ওইসব ইঞ্জিন থেকে তেল নামিয়ে নেচ্ছেন। এভাবে সেখানে বছরের পর বছর ধরে ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে তেল চুরির বিশাল এক সিন্ডিকেট গড়ে উঠে। মাঝখানে অল্পকিছু দিন এ তেল চুরির বন্ধ থাকলেও আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি সময়ে তিস্তা রেলওয়ে স্টেশনে বিআর ২২০৪ নং এইজি-২ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে তেল চুরির দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী হয়ে যায়। ফলে বর্তমান তিস্তায় রেলস্টেশন তেল চুরি স্বর্গরাজ্য পরিনিত হয়েছে। এ সিন্ডিকেটের সদস্যরা যেদিন তেল চুরিতে ব্যর্থ হন সেদিন রেলওয়ের গাছপালা, রেললাইন, পাথর, ক্লিপ ও স্লিপার চুরি করে। এছাড়াও বুধবার (১৬ আগষ্ট) গভীর রাতে সদর উপজেলার রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, তিস্তা শাখার নৈশ্য প্রহরী আব্দুর রশিদ (৬৪) কে হত্যা করে ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টা করেছে এতে তেল চুরির চক্রটিও জড়িত থাকবে পাড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রেলওয়ে মুল্যবান এসব সম্পদ চুরির কারণে প্রায় ট্রেন দুঘর্টনার কবলে পড়ে। ওই অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ বা অভিযোগ করলে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেন। এভাবে তিস্তা রেল স্টেশনে মুল্যবান সম্পদ লুটপাট হলেও রেলওয়ে প্রশাসন নীরব ভুমিকা রয়েছেন।
এ ব্যাপারে তিস্তা স্টেশনে মাষ্টারের সাথে কয়েকদফা যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০:১০:৩৮ ১১৪ বার পঠিত |