মোঃ আমজাদ হোসেন ।।ভোলাবাণী।। লালমোহন প্রতিনিধি: আবহমান বাংলার আমাদের সকলেরই চিরচেনা নিরীহ প্রাণী আর্জিনা আজ গ্রাম গঞ্জ থেকে হারাতে বসেছে তার স্বকীয় অস্তিত্ব।আগের মতোই আমরা কেউই সচরাচর এই উভচর নিরীহ প্রাণীটিকে গাছের সরু ডাল কিংবা প্রচণ্ড কনকনে শীতের হাত থেকে নিজেকে এক টুকরো রৌদ্রের জন্য কুয়াশা ভেজা ঘাসে উঁকি দিতে দেখা যায়না । উভচর এই প্রাণীটিকে কেউ কেউ অঞ্জন,অ্যাঞ্জন, সাপের আঁচিল,সাপের লাঠি এবং অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন নামে ডাকতে দেখা যায়।
এর ইংরেজী নাম keeled grass skink, বৈজ্ঞানিক নাম Eutropis carinata,এটি Animalia রাজ্যের,Chordata পর্বের,Reptilia শ্রেণীর Eutropis গোত্রের প্রাণী।এদের খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র পোকা মাকড়,লার্ভা,ক্ষুদ্র জলজ প্রাণী ইত্যাদি ।
অনেকদিন না দেখাতে আমার খুব দেখতে ইচ্ছে করছিল তাই দেখার জন্য বের হলাম।কোথাও পেলামনা সেজন্য মনটা খুব খারাপই ছিল।অবশেষে কিছুদিন পূর্বে পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের একটি খাল পাড়ে বিচরণ করতে দেখে ছবি তোলা হাতছাড়া করলাম না।
আজকাল নির্বিচারে বন উজার করা এবং শিকারের জন্যই পরিবেশ থেকে বিলপ্তির পথে আর্জিনা।
এটি শক্তসমর্থ দেহ; মধ্যপন্থী, ভোঁতা চঞ্চুর. নিম্নতর চোখের পাতা আঁশযুক্ত; মেরুদন্ডের মসৃণ আইশ. কান-খোলার গোল, উপ-ত্রিকোণ. ব্রাউন জলপাই বা অভিন্ন রং ব্রোঞ্জ উপরে, অথবা গাঢ় বাদামি বা কালো দাগ, বা দাঁড়িপাল্লা পার্শ্বস্থ মার্জিন বরাবর অনুদৈর্ঘ্য দাগ সঙ্গে. পক্ষের গাঢ় বাদামি বা বাদামী, সঙ্গে বা হালকা দাগ ছাড়া হয়. একটি হালকা পৃষ্ঠীয়-পাক্ষিক লাইন চোখের উপরে থেকে শুরু এবং পুচ্ছ বেস অব্যাহত. নিম্নাঞ্চলে সাদাটে বা হরিদ্রাভ,সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য: ৩৭ সেমি. এবং প্রচলিত দৈর্ঘ্য: ২৫, যা চঞ্চুর-বেরুতে দৈর্ঘ্য ৯ সেমি.।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:২৭:২১ ১১৫৫ বার পঠিত |