মিজান নয়ন।।ভোলাবাণী।।চরফ্যাশন অফিস॥
চরফ্যাশন পৌর শহরের ষ্ট্যাম্প বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম ভেন্ডারের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে ফাতেম মতিন মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী নাহিদা আক্তারকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাল্য বিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৫জুলাই কনে তার বরকে দেয়া তালাকী পত্রে অভিযোগের সত্যতা ফুটে উঠেছে। অভিভাবকদের এমন কর্মকান্ডে সচেতন মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। তারা এঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, অভিভাবকরা বিগত ১১জুন চরফ্যাশন সরকারি কলেজ সংলগ্ন কনের খালা মনোয়ারার বাসায় নিয়ে লাল মোহন উপজেলার ধলীগৌর নগর ইউনিয়নের চতলা গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে মঞ্জু’র সাথে কনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাবিন সম্পাদন করে। কাবিন রেজিষ্টারে জোড়পুর্বক কনের স্বাক্ষর নেন তারা। কাবিন রেজিষ্ট্রির এক মাস পর গত ১৩জুলাই বৃহস্পতিবার স্থানীয় প্রশাসন আর সংবাদকর্মীদের চোখ ফাঁকি দিতে গভীর রাতে করিমজান কামিল মাদ্রাসা মসজিদে আয়োজন করা হয় আনুষ্ঠানিক বিয়ের। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চরফ্যাশন থানা পুলিশ বিয়ের মজলিশে হানা দিলেও পরে অজ্ঞাত কারণে ফিরে আসেন তারা। কনের সম্মতি ছাড়াই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বরকে কনের বাড়ি নিলে কনে পালিয়ে নিকট আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়ে নিজকে বাল্য বিয়ের কবল থেকে রক্ষা করে। ১৫জুলাই কনে নিজে স্বামীকে তালাক দেয়। স্বামিকে দেয়া তালাক পত্রে কনে উল্লেখ করেন আমার বিয়ের বয়স না হলেও অভিভাবকরা আমাকে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দিয়েছেন।আমি পড়া লেখা করি। তারা আমার মতামত নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। আমি ইচ্ছে করলে আপনাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারতাম। কিন্তু আমার এবং আমার পরিবারের ভবিষ্যত বিবেচনা করে কোন প্রকার আইনি ঝামেলায় না জড়িয়ে আপনাকে তালাক দিয়ে আপনার বিবাহ হইতে মুক্ত হইলাম। এর অনুলিপি ধলীগৌর নগর ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে দিয়েছে ঐ ছাত্রী।
এদিকে বাল্য বিয়ের প্রতিবাদ এবং স্বামীকে তালাক দেয়ার পর থেকে ঐ ছাত্রী এখন নিজ ঘরে ফিরতে পারছেনা। তার আশ্রয় হয়েছে স্বজনদের বাড়িতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৮:১৯ ৪১৩ বার পঠিত |