মোঃ আমজাদ হোসেন।।ভোলাবাণী।।লালমোহন প্রতিনিধি:ভোলার লালমোহন সদর হাসপাতালের বেহাল দশা, ডাক্তার কর্তৃক সাধারণ রোগী ভোগান্তির ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে।সাধারণ মানুষদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লালমোহন সদর হাসপাতালে কোন রোগী আসলে জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকগন রোগী কে ভালো করে না দেখেই ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করে যেন দ্বায় সারা হন ।
হাসপাতাল কতৃপক্ষের এমন কর্মকান্ডে ভূক্তভোগী বজলু মিয়া বলেন, আমার মেয়ে ফাইজা (১৮মাস) গত শনিবার সকালে বাড়ির পার্শ্বের পুকুরে পরে গেলে আমরা তাকে উদ্ধার করে লালমোহন সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই ।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রোগী কে ভালো করে না দেখেই একটি স্লিপ লিখে দিয়ে বলেন, এ রোগী এখানে চিকিৎসা হবেনা ওকে ভোলা সদর হাসপাতাল নিয়ে যান ।
দিনমজুর বজলু মিয়া আরো বলেন, তাদের কথা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল । আমি একজন দিনমজুর । আমার মেয়েকে ভোলা নেয়ার মত সাধ্য আমার নাই ।
পরবর্তীতে লালমোহন হাসপাতালের সামনে আমাকে কাঁদতে দেখে একজন পথচারী আমাকে ঘটনা জিজ্ঞাসা করে লালমোহন উপজেলার কালমা কমিউনিটি ক্লিনিকের একজন ডাক্তারের ঠিকানা দেয় ।আমরা দ্রুত সেখানে চলে যাই । সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুল ইসলাম আমাদের স্লিপটি দেখে যেন হতবাক হয়ে যান । তিনি দ্রুত আমার মেয়েকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন ।এমন অভিযোগে লালমোহন হাসপাতালের টি এস ডা: সন্তোস কুমার বলেন রোগী ভোলা যাবার পথেই ভালো হয়ে যেতে পারে ।ভোলা সিভিল সার্জন ডা: রথিন্দ্রনাথ রায় বলেন রোগী পথি মধ্যে ভালো হয়ে যেতে পারে তবে এসব বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখবো ।সরেজমিনে হাসপাতালের ভেতরে ঘুরে দেখা যায় টি এস বা অন্য ডাক্তার হাসপাতালে অফিস সময়ে থাকেন না।তারা লালমোহন বাজারের বিভিন্ন চেম্বারে বসে চিকিৎসা দেন এবং অনেকের সাধ্যের বাইরে প্রেশক্রিপশনের টাকা নেন।সাধারণ মানুষ আরও অভিযোগ করেন ডাক্তাররা অনেক সময় প্রেশক্রিপশন লিখে তাদের হাত পা ঘুটিয়ে বসে থাকেন, হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে বাজারের ক্লিনিক গুলোতে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য পাঠান।সেখানে গেলে আমাদের অনেক টাকা খরচ করতে হয়।এছাড়াও সাধারণ মানুষ হাসপাতাল থেকে সরকারি কোন ওষুধ পায়না বলেও জানান এই প্রতিবেদককে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:২৮:৪৫ ২৩০ বার পঠিত |