মোঃ ছালাহউদ্দিন ।।ভোলাবাণী।। মনপুরা সংবাদদাতা॥ মনপুরার জেলেরা মেঘনায় ইলিশ ধরা অবস্থায় ২৮ জুন বুধবার ভোররাতে হাতিয়ার জলদস্যু বাহিনী চরপাতালিয়া সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে ১টি ট্রলারসহ ৩ মাঝিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অপহৃত মাঝিদের ও ট্রলারটি ছাড়িয়ে আনতে জলদস্যু বাহিনী ২লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করেন। বিষয়টি আড়তদার ও পরিবার সুত্রে নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করা হয়েছে।
ঈদের পর পরেই জলদস্যুরা আবারও ফের মেঘনায় তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। জলদস্যুরা জেলেদের অপহৃত করায় জেলেদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। মেঘনায় ইলিশ মাছ ধরতে জেলেরা সাহস পাচ্ছেনা । জলদস্যুদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সকাল সাড়ে ১০টা এখনও অপহৃত মাঝি ও ট্রলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
খোঁজ নিয়ে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলেদের সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনকার ন্যায় খলিল মাঝি ও নেজু মাঝি মনপুরার চরপাতালিয়া সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে । আগ থেকে ওত পেতে থাকা হাতিয়ার জলদস্যু বাহিনী দেশীয় অ¯্র তাক করে জেলেদের চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলেন। পরে জলদস্যুরা অস্ত্র তাক করে জেলেদের জিম্মি করে খলিল মাঝির ট্রলারসহ খলিল মাঝিকে ও তার ইঞ্জিনচালক বেলাল মেস্তরী এবং অপর ট্রলার থেকে নেজু মাঝিকে অপহৃত করে নিয়ে যায়। ট্রলারে থাকা অপর সকল জেলেদের চরপাতালিয়া চরে নামিয়ে দিয়ে যায় জলদস্যুরা । মুক্তিপনের বিনিময়ে জেলেদের ছাড়িয়ে আনার জন্য বলেন জলদস্যু বাহিনী।
এবিষয়ে ৪নং দক্ষিন সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অলিউল্যাহ কাজল বলেন,হাতিয়ার জলদস্যুরা আমার এলাকার ১টি মাছধরা ফিসিংবোটসহ ৩ জেলেকে চরপাতালিয়া সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে ধরে নিয়ে যায়। এখনও তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মুক্তিপনের বিনিময়ে জেলেদের ছাড়িয়ে আনার জন্য বলেছেন জলদস্যু বাহিনী ।
এব্যাপারে মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহীন খান এ প্রতিবেদককে বলেন,ঘটনাটি আমার এলাকায় ঘটেনি। এটি হাতিয়ার সীমানায় হয়েছে।
এব্যাপারে হাতিয়া জোনের কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি সাংবাদিককে তার নামটি বলতে রাজি হয়নি। তিনি এ বিষয়ে খোজ খবর নিবেন বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১১:২৬:৫৩ ২৩১ বার পঠিত |