বিশেষ প্রতিনিধি, ভোলাবাণী: ভোলায় এবার বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করতে ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার-দফাদারদের জন্য ১০০ টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন।
ভোলা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে শিশু বিবাহ প্রতিরোধে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে এডভোকেসি সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন কোথাও কোন বাল্য বিবাহ হতে যাচ্ছে বা হচ্ছে এমন কোন খবর জানাতে পারলে ইউনিয়নের চৌকিদার-দফাদারকে এ অর্থ পুরষ্কার দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, বাল্য বিবাহ সমাজের জন্য অভিশাপ। এর ফলে যে সব মেয়ের অল্প বয়সে বিয়ে হচ্ছে তাদের দ্বারা ভবিষৎ তেমন কোন উন্নয়ন হচ্ছে না বলে জানান। এদের মাধ্যমে যে সব শিশু জন্ম নেয় তারা অধিকাংশ অপুষ্টিসহ নানা জটিলতায় ভুগে। তাই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিক্ষক থেকে শুরু করে কাজী, ঈমাম চেয়ারম্যান, মেম্বার, সমাজকর্মী, এনজিও কর্মী, সাংবাদিক, কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে একটি নেটওয়াকিং তৈরি করে ভোলা জেলাকে বাল্য বিবাহমুক্ত করতে যার যার অব্স্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান।
ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মৃধা মোঃ মোজাহিদুল ইসলামের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোঃ মাহামুদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল হালিম, ইউনিসেফ’র প্ল্যানিং এন্ড মনিটরিং অফিসার আল-মমিন সরোয়ার, প্রেগাম অফিসার মোঃ আব্দুল জলিল, কোস্ট ট্রাস্ট্র’র শিশু বিবাহ রোধ প্রকল্প সম্মনয়কারী মোঃ মিজানুর রহমান, সাংবাদিক নেয়ামতউল্ল্যাহ, বাল্য বিবাহ ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি আদিল হোসেন তপু, এলসিভিসি অফিসার মতূর্জা খালেদ প্রমুখ।
পরে নিজের বাল্য বিবাহ বন্ধ করে সাহসিকতার পরিচয় দেওয়ার জন্য ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তারকে পড়া-লেখার খরচ চালিয়ে নেওয়ার জন্য ইউনিসেফ ও কোস্ট ট্রাস্টের সহায়তায় পনের হাজার টাকা নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১:৪১:০৬ ২৮৫ বার পঠিত |