প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষেকর্মস্থলে ফিরছে মানুষ, ইলিশা ঘাটে যাত্রীদের চাপ

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষেকর্মস্থলে ফিরছে মানুষ, ইলিশা ঘাটে যাত্রীদের চাপ
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪



ছোটন সাহা ॥ভোলাবাণী।। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরছে ভোলার মানুষ। তবে অতিরিক্ত ভাড়া আর যাত্রীদের চাপে লঞ্চঘাটে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

 

ভোলার ইলিশা ঘাটে যাত্রীদের চাপ

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে ভোলার ইলিশা ঘাটে যাত্রীদের ভয়াবহ চাপ দেখা গেলেও নৌযান সংকটের কারণে তাদের ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার হতে দেখা গেছে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও রয়েছে।

জানা গেছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সহজ যোগাযোগের মাধ্যম ভোলা-লক্ষীপুর ও ভোলা-ঢাকা রুট। গুরুত্বপূর্ণ এ রুটে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী আসা যাওয়া করে। তবে ঈদের সময় সেই সংখ্যা বহুগুনে বেড়ে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের ঈদেও বেড়েছে যাত্রী চাপ। ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ।

সোমবার ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ইলিশা ও ফেনী লঞ্চঘাটে যাত্রীদেন দীর্ঘ সারি। কেউ লঞ্চে কেউ সি ট্রাকে কেউবা ফেরিতে করে রওনা দিচ্ছে। আবার কেউ অবৈধ ¯িপডবোট, ট্রলারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেঘনা পাড়ি দিচ্ছে। এতে যেকোন সময় দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকলেও ঝুকিপূর্ণ যাত্রা নিয়ন্ত্রণে কোনো মনিটরিং নেই। যদিও ঘাটে পুলিশ ও নৌ পুলিশ সদস্যদের দেখা যাচ্ছে।

যাত্রীরা জানালেন, ঈদ উদযাপন শেষে এবার কর্মস্থলে ফেরার পালা। তাই চট্টগ্রাম ও রাজধানীমুখী মানুষ ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু ঘাটে এসেই তাদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক নৌ যান থাকায় ভয়াবহ চাপ নৌযানে।

মনিটরিং না থাকায় ধারনক্ষমতার বেশি যাত্রী পারাপার করছে নৌ যানগুলো। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে বহুগুনে।

যাত্রী আবুল কালাম, মোস্তফা ও শিরিনা বেগম বলেন, তারা পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছেন। যাবেন চট্টগ্রাম। কিন্তু ঘাটে অতিরিক্ত চাপ থাকায় বসে অপেক্ষা করছেন।

আরেক যাত্রী রহমত উল্ল্যাহ ও জাকির হোসেন বলেন, এভাবে অতিরিক্ত যাত্রী হলে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দেওয়া অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। তারপরেও মানুষ বাধ্য হয়ে যাচ্ছে। কারণ সবাই চান কর্মস্থলে যাওয়ার।

ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, মানুষের দুর্ভোগ লাগবে মনিটরিং চলছে। কেউ যাতে অবৈধ নৌ যানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাত্রী পারাপার করতে না পারে সেজন্য কোস্টগার্ড এবং নৌ পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও সার্বক্ষণিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়মিত মনিটরিং করবেন। ঈদে ঘরে ফেরা এবং কর্মস্থলমুখী মাষুষের দুর্ভোগ লাগবে প্রশাসন কাজ করছে।

এদিকে ঘাটে শৃঙ্খলা বা নিয়ন্ত্রণের পরেও কর্মস্থলে ফেরার টানে দুর্ভোগ উপেক্ষা করেই ফিরছেন যাত্রীরা। কেউ কেউ আবার ঝুকি এড়াতে পরবর্তী লঞ্চের অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকেন।

ইলিশ-ঢাকা রুটে ১৫টি লঞ্চ ও ভোলা-লক্ষীপুর রুটে ৪টি মাত্র সি ট্রাক চলছে। যা তিন লাখের বেশি কর্মস্থলে ফেরা মানুষের জন্য কতটা গ্রহনযোগ্য তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৪২:২৭   ৫৯ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪মনপুরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৫ জন ॥ মোট প্রার্থী ১১ জন
তজুমদ্দিনে আগুনে পুড়ে ১৩ দোকান ছাই পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি ॥
এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
এ কে ফজলুল হককে কেন ‘শেরে বাংলা’ বলা হয়?
জাতীয় পর্যায়ের লোকনৃত্য প্রতিযোগীতায় ভোলার মেয়ে স্বস্তিকার ২য় স্থান অর্জন
ভোলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
চরফ্যাসনে হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু
ভোলায় তীব্র প্রবাহে অস্থির জনজীবন
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে ॥
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন ২০২৪আপনাদের পবিত্র ভোট ৫ বছরের জন্য ভাল পাত্রে জমা রাখবেন-মোহাম্মদ ইউনুছ

আর্কাইভ