সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় বেকার ভোলার ৬৩ হাজার সমুদ্রগামী জেলে

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় বেকার ভোলার ৬৩ হাজার সমুদ্রগামী জেলে
শুক্রবার, ২০ মে ২০২২



স্টাফ  রিপোর্টার।। ভোলাবাণী।।গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর এবং মৎস্য ও প্রাণসিম্পদ মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সামৃদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতি বছর ২০ মে হতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।এতে আরো বলা হয়, সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ এর ধারা ৩ এর উপধারা ২ বলে জারিকৃত এ নিষেধাজ্ঞা সকল মৎস্য নৌযানকে প্রতিপালনের জন্য অনুরোধ করা হল। এর ব্যত্যয় ঘটলে সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এতে সাগরে মাছ ধরতে পারবেন না ভোলার ৬৩ হাজার জেলে।

উপকূলীয় মৎস্য আড়তে সমুদ্রগামী জেলেরা জাল, ট্রলার ও ফিশিংবোর্ট নিয়ে সাগর থেকে নিজ নিজ ঘাটে ফিরতে শুরু করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাত ১২টার পর থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। একবার বন্ধের ১৯ দিন পর ফের আরেকবার মাছ ধরা বন্ধ হওয়ায় বেকার হয়ে পড়ছেন ভোলার এসব জেলেরা।তবে মেঘনা-তেতুঁলিয়ার জেলেরা মাছ শিকার করতে পারলেও যেতে পারবেন না সাগরে। নিষেধাজ্ঞার চিন্তায় পরিবার-পরিজন নিয়ে কিভাবে দিন কাটাবেন তা ভেবে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।

এদিকে উপকূলীয় মৎস্য আড়তে দেখা গেছে, সমুদ্রগামী জেলেরা জাল, ট্রলার ও ফিশিংবোর্ট নিয়ে সাগর থেকে নিজ নিজ ঘাটে ফিরতে শুরু করেছেন।

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সাম্রাজ ঘাট এলাকার জেলে হোসেন মাঝি বলেন, আমরা সাগরে মাছ ধরি।কিন্তু ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরা বন্ধ থাকায় আমরা বেকার হয়ে পড়বো। ধার-দেনা করে দিন কাটাতে হবে।

সুলতান মাঝি ও আনোয়ার মাঝি বলেন, মাছ ধরা বন্ধ তাই সাগরে যেতে পারব না। আয়-ইনকাম কমে যাবে। পরিবারের সদস্যদদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। সরকার থেকে আর কিছু বেশি সহযোগীতা পেলে আমাদের সংকট দূর হতো।

জেলেরা জানান, একবার সাগরে গেলে তারা ফেরেন পাঁচ থেকে ১৫ দিন পর। আর এ সময়ে ধরা মাছগুলো বিক্রি করে পান তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা। এখন মাছ ধরা বন্ধে পুরোপুরি বেকার হয়ে পড়ছেন তারা।

তারা বলেন, শুধু সাগরেই মাছ ধরেন আর এর ওপরেই তাদের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে। মাছ ধরা বন্ধ থাকলে তাদের আয়ও বন্ধ হয়ে যায়। তাই নিষেধাজ্ঞাকালে তাদের জন্য বরাদ্দ যেন আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয় দাবি তাদের।

সুত্র থেকে জানা গেছে, জেলায় সমুদ্রে মাছ শিকার করে জীবিকা বির্বাহ করা জেলের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৯৫৪ জন। এদের মধ্যে সদরে ৩ হাজার ৬৯৮ জন, বোরহানউদ্দিনে ৭ হাজার ৬৫০, দৌলতখানে ১১ হাজার ৫৫০, লালমোজনে ৮ হাজার ৮০৪, তজুমদ্দিনে ৪ হাজার ৫০৬, চরফ্যাশন উপজেলায় ১৭ হাজার ৫৬১ ও মনপুরা উপজেলায় ১০ হাজার ১৮৫ জন রয়েছেন।

জেলে মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম জানান, নিষেধাজ্ঞা সময়ে জেলেদের জন্য ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে এমন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ৬৩ হাজার ৯৫৪ জন। তাদের সবাই চাল পাবে।

তাদের জন্য চাল বরাদ্দ হয়ে গেছে। খুব শিঘ্রই তা বিতরন শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০:০৩:২৫   ১২৪ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪৬২২ ফিলিস্তিনি নিহত
মুজিব শতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পুরনে একধাপ এগিয়ে মনপুরায় বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাস পর্যটন কেন্দ্রস্থান সচিবের পরিদর্শন ॥
শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন মুফতি মাও: মুজির উদ্দিন
চাহিদার চেয়ে উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকলেও ভোলায় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।
লালমোহনে জাগোনারী’র অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর ভোলায় মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে নামবেন জেলেরা
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে আরও ইউরোপীয় দেশ
তজুমদ্দিনে ৮৫৬টি গাছ কেটে রাস্তা চওড়া করার প্রস্তুতি সম্পন্ন ,স্থানীয়দের ক্ষোভ
ভোলায় ডিবির অভিযানে অস্ত্রসহ ৩ দস্যু আটক, অপহৃতরা উদ্ধার

আর্কাইভ