শনিবার, ২৮ আগস্ট ২০২১

আবাসিক বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযােগ ।।তরুণীসহ তাঁতীলীগ নেত্রী আটক

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » আবাসিক বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযােগ ।।তরুণীসহ তাঁতীলীগ নেত্রী আটক
শনিবার, ২৮ আগস্ট ২০২১



ভোলাবাণী।।বিশেষ প্রতিনিধি।।

ভোলার লালমোহনে আবাসিক বাসায় তরুণী রেখে ফিজিও থেরাপি ব্যবসার আড়ালে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে এক তরুণীসহ তাঁতীলীগ নেত্রীকে আটক করা হয়েছে। তাঁতীলীগ নেত্রী ফিজিও থেরাপি ব্যবসার আড়ালে নিজের বাড়িতে এমন অসামাজিক কার্যকলাপ করে আসছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

আবাসিক বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযােগ ।।তরুণীসহ তাঁতীলীগ নেত্রী আটক

অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৭ আগষ্ট) রাতে অভিযোগ পেয়ে লালমোহন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.জাহিদুল ইসলাম থানা পুলিশসহ উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের তালতলা গ্রামে মোছাঃ শাহিনুর বেগমের বাসায় অভিযান চালায়। এসময় বাসায় এক তরুনী পাওয়া যায়।স্থানীয়রা জানান শাহিনুরের স্বামী শাহে আলম ঢাকায় ভ্যান চালক। তা সত্ত্বেও বাড়িতে শাহিনুর একতলা ছাদ দিয়ে পাকা ভবন নির্মাণ করেছেন। বাসায় নতুন ফ্রিজ, সোফাসহ দামী আসবাবপত্রও রয়েছে। ওই বাড়িতে ফিজিও থেরাপী ব্যবসার আড়ালে তার মূল কর্মকান্ড বিভিন্ন অপরিচিত মেয়েদের এনে অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করা। তার বাড়িতে প্রতিদিনই মোটরসাইকেল নিয়ে অপরিচিত লোকদের আনাগোনা চোখে পড়ে।

এনিয়ে পার্শ্ববর্তী লোকজন শাহিনুরকে কিছু বললে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার কারণে শাহিনুরের কর্মকান্ড নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা তৈরি হয়।

অভিযানের সময় শাহিনুরের বাসায় তার একটি ভিজিটিং কার্ড পাওয়া গেছে। যাতে শাহিনুরের পরিচয় ভোলা জেলা তাঁতী লীগের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে উল্লেখ রয়েছে।

স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সফিজল হক বলেন, গ্রাম পুলিশ হিসেবে এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় আমাকে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়েছেন তিনি। আমি শাহিনূরের কঠিন বিচারের দাবী জানাই।

শাহিনুর বেগম জানান, বাসায় কোন অসামাজিক কার্যকলাপ চলে না। এখানে ভাণ্ডারির আয়োজন হয়। এছাড়াও লোকজনকে থ্যারাপী দেয়া হয় যার কারণে বিভিন্ন লোকজন এ বাসায় আসে। বাসায় থাকা তরুণী তার বোনের মেয়ে বলে তিনি জানান।

এদিকে তাতীলীগ নেত্রী শাহিনুরের বাসায় অভিযানের সময় তার দৃস্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, সুনির্দিস্ট কোন অভিযোগ বা প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টে সাজা দেয়া যায়নি।

লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, এখনও শাহিনুর ও মিতু থানা হেফাজতে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২:১৫:৩১   ৭৯ বার পঠিত  |