শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১

চরফ্যাসন এওয়াজপুর ইউনিয়নে মেম্বার প্রার্থীকে আসামী করে মিথ্যা মামলা

প্রথম পাতা » দক্ষিণ আইচা » চরফ্যাসন এওয়াজপুর ইউনিয়নে মেম্বার প্রার্থীকে আসামী করে মিথ্যা মামলা
শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১



 নিজস্ব প্রতিনিধি।।ভোলাবাণী।।

 

---

করোনার প্রাদূর্ভাবে সদ্য বন্ধ হওয়া এওয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মিরাজ হাওলাদারসহ তার ১০ কর্মী সমর্থকদের আসামী করে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিদন্ধী মেম্বার  প্রার্থী মুছা কালিমুল্ল্যার বিরুদ্ধে। ওই দায়ের করা মামলায় ঘটনার তারিখ গত ২৫ মার্চ নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হয়েছে উল্লেখ্য করা হলেও প্রতিদন্ধী প্রার্থীকে হয়রানী করতে গত ৭ এপ্রিল জৈনক আবুল খায়ের বাদী হয়ে মেম্বার প্রার্থী মিরাজ হাওলাদারসহ তার কর্মী সমর্থকদের আসামী করে একটি হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ করেন মেম্বার প্রার্থী মিরাজ হাওলাদার।

প্রার্থী মিরাজ হাওলাদার অভিযোগ করেন, গত ৩০ মার্চ তার প্রতিদন্ধী প্রার্থী মুছা কালিমুল্লাহ তার দলবল নিয়ে আমার নির্বাচনী কর্মী জহির মাঝিকে হত্যার উদ্দেশ্যে রাতের আধারে ঘর থেকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে জখম করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়।  আমরা প্রতিবাদ করায় প্রতিদন্ধী প্রার্থী মুছা কলিমুল্ল্যার দলবলে নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায় এতে আমার ২০/ ২৫ জন কর্মী সমর্থক গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা গুরুতর জহিরকেসহ অপর আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এঘটনায় গুরুতর আহত জহির মাঝির ছেলে রাজিব হোসেন বাদী হয়ে গত ৩ এপ্রিল শশীভুষণ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা দায়ের পর তার প্রাতিদন্ধী প্রার্থী মুছা কালিমুল্লাহ ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের  নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে আমার কর্মী সমর্থকদেরকে হয়রানী করে নির্বাচনের প্রচারনা বাঞ্চাল করতে আমাকেসহ  ১০ কর্মী সমর্থকদের আসামী করে একটি হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।  তিনি আরো অভিযোগ করেন, তার নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের ঘটনা গত ২৫ মার্চ মামলায় উল্লেখ্য করা হলেও তার কর্মী জহিরের আহত হওয়ার ১৩ দিন পরে উদ্দেশ্যে প্রদোনিত নিজেরা তাদেও অফিস ভাংচুর করে  আমাকে এবং আমার কর্মী সমর্থকদের হয়রানী করতে অহেতু একটি মামলা দায়ের করেছেন। মিথ্যা মামলাটি দায়ের পর শশীভূষণ থানা পুলিশ মুছা কলিমুল্ল্যার দায়ের করা মামলার তদন্তে এসে এক তরফা তদন্ত করে যান। সেখানে আমারদের কোন স্বাক্ষীদেরকে কোন জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। বাজার কমিটি ও প্রত্যক্ষদর্শীকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ না করেই পুলিশ একতরফা তদন্ত করে যান।

অভিযোগ প্রসঙ্গে মুছা কালিমুল্লাহ বলেন, তার প্রতিদন্ধী প্রার্থী মিরাজ হাওলাদারের নির্দেশে তার কর্মীরা তার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করেন। এবং তার কর্মী সর্মথক ও কর্মীরা আহত থাকায় তাদের চিকিৎসা জনিত কারনে তিনি মামলা করতে বিলম্ব করেছেন।

শশীভূষণ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, নির্বাচন চলাকালে দুই মেম্বার প্রার্থী কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক পৃথক দুই মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুই মামলাই তদন্তাধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:১৪:৪০   ৮৬ বার পঠিত  |