শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মনপুরায় মুক্তিযোদ্ধাদের যাছাই-বাছাই সম্পন্ন ॥

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মনপুরায় মুক্তিযোদ্ধাদের যাছাই-বাছাই সম্পন্ন ॥
শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১



মোঃ ছালাহউদ্দিন।।ভোলাবাণী।।মনপুরা প্রতিনিধি ॥
মনপুরায় ২৯ জন মুক্তিযোদ্ধাদের যাছাই-বাছাই ৬ই ফেব্রুয়ারী শনিবার জেলা পরিষদ ডাকবাংলো হল রুমে সম্পন্ন হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের যাছাই-বাছাই কাজে সার্বিক সহযোগীতা ও সাচিবিক কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামীম মিঞা।

মনপুরায় মুক্তিযোদ্ধাদের যাছাই-বাছাই সম্পন্ন

গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার ২৯ জন মুক্তিযোদ্ধাদের যাছাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। যাছাই-বাছাই কাজের সভাপতিত্ব করেন জামুকার প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজউদ্দিন হাওলাদার। মুক্তিযোদ্ধাদের যাছাই-বাছাই বোর্ডের সদস্য ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ভোলা -৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপির প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ লতিফ ভুইয়া, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম মাতাব্বর।এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুউদ্দিন ব”চু চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছারেমুল হক হুমায়ুন,প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন,সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ ছালাহউদ্দিনসহ লাল মুক্তিবার্তায় অর্ন্তভুক্ত সকল বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

এই সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামীম মিঞা সকল মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের যাছাই-বাছাই কাজে সকল মুক্তিযোদ্ধারা সঠিক ও নির্ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য বিনীত আহব্বান জানান। যাছাই-বাছাই কালে সকলেই তাদের মুক্তিদ্ধুদ্ধের সকল প্রমান পত্র দাখিল করে প্রমান করতে হবে তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। ৩৩ ধরনের প্রমানপত্র প্রমানক হিসেবে দাখিল করতে হবে। কে কোথায় যুদ্ধ করেছেন তাদের যুদ্ধকালীন কমান্ডার কে ছিল এবং লাল মুক্তিবার্তায় নাম আছে যাছাই –বাছাই কালে এমন তিন জন বীর মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষরসহ সাক্ষী উপস্থিত রাখতে হবে।
পরে ২৯ জন মুক্তিযোদ্ধাতেদর যাছাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু করেন যাছাই-বাছাই কমিটি। শনিবার ২৯ জন মুক্তিযোদ্ধাদের যাছাই-বাছাই সকল মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে। এতে বাছাই কমিটির সমানে ২৯ জন মুক্তিযোদ্ধা তাদের সকল প্রমানপত্র উপস্থাপন করেন । যাছাই-বাছাই কমিটি তাদের সকল প্রমানপত্র দেখেন এবং সকল প্রমানপ্রত্র সঠিক আছে মর্মে এবং যুদ্ধের সময় তাদের সাথে ছিলেন বলে উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামীম মিঞা বলেন, যাছাই-বাছাই কমিটি সকলের প্রমানপত্র দেখেন এবং সকলের প্রমানক সঠিক আছে মর্মে অবহিত করেন এবং তা স্বাক্ষর করেন। লাল মুক্তিবার্তায় নাম আছে এমন তিনজন তাদের পক্ষে স্বাক্ষী প্রদান করেন । যাছাই যাছাই কমিটি ২৯ জন মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বলে মতামত ব্যাক্ত করেছেন। যাছাই-বাছাইতে কেউ বাদ পড়েনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৩৭:৩৩   ৮৮ বার পঠিত  |