ভোলায় বিপ্লবের জনপ্রিয়তা নষ্ট করতেই অপ্রচার, বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদ

প্রথম পাতা » ভোলা জেলা » ভোলায় বিপ্লবের জনপ্রিয়তা নষ্ট করতেই অপ্রচার, বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদ
মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২০



এম. এইচ, ফাহাদ, বিশেষপ্রতিনিধি।। ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের  সাংগঠনিক সম্পাদক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মইনুল হোসেন বিপ্লবের বক্তব্যকে অপব্যাখ্যা ও অপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে,জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।


এনিয়ে তীব্র নিন্দা জানায় স্থানীয় রাজনীতিবীদ সামাজিক সাংস্কৃতিক ও সুশিল সমাজসহ জেলার সাংবাদিক মহল। তারা মনে করছেন ভোলায় এখন তরুণ উদীয়মান ও জনপ্রিয় রাজনীতিবীদ বিপ্লব।তার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রী মহল তার ভাবমূর্তি  নষ্ট করতে মুলত এ ষড়যন্ত্র। আর এখনি এসব মিথ্যাচার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সবাই।


এ বিষয়ে সাবেক ছাত্রনেতা সাংবাদিক হাসনাইন আহমেদ মুন্না মনে করেন, ১৬ ডিসেম্বরের মহান বিজয় দিবসের একটি সভায় জেলা আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা মইনুল হোসেন বিপ্লব’র বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার অপচেষ্টা ছিল কু-চক্রী মহলের।বক্তব্যের খন্ডিত অংশ প্রচার করে মূলকথা আড়াল করেই তার বক্তব্যটা ভিডিও ভাইরাল করে। যা মানহানীর সামিল।তিনি যা বোঝাতে চেয়েছেন সেটাকে বিকৃত করে উপস্থাপনের মাধ্যমে আওয়ামী পরিবারে বিরোধ সৃষ্টি করা ছিল এদের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। তাই এসব অপ রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান সাবেক এ ছাত্রনেতা।


ভোলা সেচ্ছাসেবক লীগ যুগ্ন আহবায়ক ও ভোলা থিয়েটার এর সাধারন সম্পাদক আবিদুল আলম আবিদ বলেন, মইনুল হোসেন বিপ্লব একজন মেধাবি, চৌকস নেতা। জীবন্ত কিংবদন্তী জননেতা তোফায়েল আহমেদ এমপি মহোদয়ের আদর্শে বড় হওয়া শিক্ষিত একজন রাজনীতিবিদ।এধরনের রাজনীতিবিদ বর্তমান প্রজন্মে পাওয়া বিরল। তিনি ভোলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এমন কোন সাংস্কৃতিক সংগঠন নেই যে তিনি নিজে উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন নাই। দলের যেকারো পারিবারিক সমস্যায় সকলের পাশে থাকেন। এমন একজন মানুষের বক্তব্যের অপব্যাখা দিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় ভুল ব্যাখা প্রকাশ করাটা রাজনৈতিক নোংরামি ছাড়া আর কিছু না। যারা এসমস্ত নোংরামি করেছে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে ভোলা সদর উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম  উপজেলা আ’লীগের পক্ষেহতে বলেন, ১৬ ডিসেম্ভর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সেই দিন জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব এর বক্তব্যকে দলের যেকোন সিনিয়র নেতার পরামর্শ নিয়ে এ অপপ্রচার করা হয়েছে। তার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। যারা এসব অপপ্রচার করে বেরাচ্ছে তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।


জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আবু ছায়েম বলেন, মইনুল হোসেন বিপ্লব ভাই কাউকে ছোট করে বক্তব্য দেননি। বরং তিনি বক্তব্য সন্মান দেখিয়েছেন,যা ছিল শেখ নাসের তন্ময় ও নাঈম রাজ্জাক সাহেবকে নিয়ে,তাতে তিনি বলেছিলেন,তাদের পরিবারের প্রতি  রাজনৈতিক শ্রদ্ধাবোধ থেকে।যা হচ্ছে তারা যে পরিবারের সন্তান তাদের রাজনীতির সিড়ি বেয়ে আসার প্রয়োজন হয়না।কারন তারা দুজনে রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম তাই। তাদের যোগ্যতার বলে তারা এনেতৃত্বে এসেছেন।তবে স্বার্থান্বেষি মহল ফেসবুকে ফ্যাক আইডির মাধ্যমে সেদিনের আসল বক্তব্যটি না দিয়ে বক্তব্যটি কাটিং করে অপপ্রচার চালিয়েছে। বিপ্লবের জনপ্রিয়তা নস্ট করে আ’লীগের পরিবারের মাঝে ভুল বুঝা-বুঝি  অপচেস্টা চালায় তারা। আমরা ভোলা জেলা সেচ্ছা সেবকলীগের পক্ষহতে তীব্র নিন্দা জানাই।


ভোলা প্রেসক্লাবের সাবেক আহবায়ক ও প্রবীণ সাংবাদিক, বিটিভির জেলা প্রতিনিধি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর ভাষানী মঞ্চে মইনুল হোসেন বিপ্লব তার বক্তব্যে কাউকে ছোট করে কোন বক্তব্য দেননি।তিনি সেইদিন রাজনৈতিক  পারিবারিক যোগ্যতা আর মেধায় যেকেউ যোগ্যস্থানে রাজনীতিতে আসতে পারেন।সেক্ষেত্রে কারো সিড়ি বেয়ে উপরে উঠার প্রয়োজন হয়না।তবে কু-চক্রি মহল সেই বক্তব্যকে রাজনৈতিক দুষ্ট মনোভাবে বিশ্লেষণ করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালায়। আর  সেদিন আমিও প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলাম।


এ ব্যাপারে জেলা সচেতন নাগরিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, মইনুল হোসেন বিপ্লব জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন,যার কারন তিনি জাতীয় নেতা ভোলার তোফায়েল আহমেদের সন্তান।তার জন্ম আ’লীগ পরিবারে। বিপ্লব কখনো-ই কাউকে খাটো করে কিছু বলেন নাই। বিপ্লব ভোলার রাজনীতির মাঠে সর্বস্তরে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন বলে একটি গ্রুপ ফেসবুকে উস্কানিমূলক কথা লিখে অভ্যন্তরীণ  পরিবারের মধ্য দ্বন্দ্ব সৃষ্টির অপচেস্টা চালিয়েছে।যা কোন দিনও সম্ভব হবে না ইনশাল্লাহ। একটা কথা মনে রাখবেন,বিপ্লব নিজের জন্য রাজনীতি করে না,তার রাজনীতি শুধুই ভোলার তৃনমূল আ.লীগের নেতাকর্মীদের জন্যে।

এদিকে ভোলা জেলা আ’লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম নকিব বলেন, বিপ্লব তারুণ্যের প্রতীক। উচ্চ শিক্ষিত প্রজন্মের অহংকার। ভোলায় তার রাজনীতির সাংগঠনিক সফলতা দেখেই মুলত একটি পক্ষ তার ভাবমূর্তি নষ্টের অপচেষ্টা চালায়। তাই কোন ইস্যু খুজে না পেয়ে তার বক্তব্যকে ভুল উপস্থাপন করে।আর  শেখ পরিবারের ইস্যুটি নিয়ে নোংরা রাজনীতি ফায়দা লুটতে চেয়েছে তারা।এবং বিপ্লব বদনামি হলে তোফায়েল আহমেদের বদনাম করা যাবে মুলত উদ্দেশ্য ছি তাই এ মিথ্যাচার চালায়।


ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার পাশা বলেন,বিপ্লব ভোলার তরুন প্রজন্মের নেতা। তার মতো ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ প্রতিটি ঘরে ঘরে দরকার।তার বিরুদ্ধে  ষড়যন্ত্র অপ্রচার মেনে নেয়া যায়না। তিনি প্রজন্মের অহংকার। আমরা ভোলাবাসি অপ্রচার এর বিরুদ্ধে  নিন্দা জানাই।


সাবেক ছাত্রনেতা এম এইচ ফাহাদ বলেন,মুলত এই নোংরামি জননেতা তোফায়েল আহমেদের ইমেজ নষ্ট করা ছিল উদ্দেশ্য। বিপ্লব ভাইর বক্তব্যটি অপব্যাখ্যা দিয়েছে তার কারন শেখ পরিবারকে নিয়, যদি ইস্যুটি দার করানো যায় তাহলে জননেত্রী শেখহাসিনার কাছে নেতার ভাবমূর্তি অতিসহজেই ক্ষুন্ন হবে।তাই ষড়যন্ত্র। তবে বিপ্লব ভাই নেতাকর্মীদের প্রাণ।তার জনপ্রিয়তা সুদুরপ্রসারি। যদি বিষয়টি নিয়ে তিনি নম্রতার পরিচয় না দিতেন,তাহলে ভোলা বিক্ষোভে ফুসে উঠতো।যদিও ইতিমধ্যে ফেসবুকে তার সমর্থকরা মৌন প্রতিবাদ জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১:২৬:২৯   ২১৩ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ভোলা জেলা’র আরও খবর


জাতীয় পর্যায়ের লোকনৃত্য প্রতিযোগীতায় ভোলার মেয়ে স্বস্তিকার ২য় স্থান অর্জন
ভোলার নৃত্যশিল্পী স্বস্তিকার জাতীয় প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন
ভোলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
চরফ্যাসনে হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে ॥
ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার খালের উপর ব্রিজ নির্মানের দাবী মনপুরাবাসীর ॥
লালমোহনে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়
লালমোহনে আবাসনের ঘর জবরদখলের অভিযোগ
বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ট ব্যবসায়ীসহ গ্রাহকবিদ্যুত বিহীন মনপুরা ॥ তীব্রতাপদাহে ভোগান্তিতে সাধারন মানুষ
৩ মাস ধরে বন্ধ বিদ্যুৎ প্লান্টতীব্র গরম আর বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ ভোলাবাসী

আর্কাইভ