চরফ্যাশন অফিস॥
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহি অফিসার(ইউএনও) মো. রুহুল আমিনকে প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বুধবার বিকেলে চরফ্যাশন বাজার ব্যবসায়ী সমিতিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এদাবী জানানো হয়েছে। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, ১৫নভেম্বর উপজেলা প্রশাসন চরফ্যাশন এর ফেইস বুক আইডিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১০দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ডিলিং লাইসেন্স সংগ্রহের জন্য ব্যবসায়ীদের সময় দেন। কিন্তু পর দিন ১৬নভেম্বর চরফ্যাশন বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কালে ডিলিং লাইসেন্স না থাকায় ১০হাজার টাকা করে ব্যবসায়ীদের গণহারে জরিমানা আদায় করেন। ১০দিন সময় অতিবাহিত না হতে কেন জরিমানা ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি অসৌজন্যমুলক আচরণ করেন। এঘটনার পর থেকে বিক্ষুব্দ ব্যবসায়ীরা নির্বাহী অফিসারের প্রত্যাহার দাবী জানিয়ে আসছেন। বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নির্বাহি অফিসারের প্রত্যাহার চেয়ে সাটানো রয়েছে ব্যবসায়ীদের একাধিক ব্যানার। গতকাল বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এঘটনায় নিম্ম লিখিত কর্মসূচী ঘোষনা করেছে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
কর্মসূচী-১ঃ আগামী ৩০নভেম্বরের মধ্যে উপজেলা নির্বাহি অফিসারকে প্রতাহার করতে হবে। কর্মসূচী-২ঃ এ সময়ের মধ্যে তাকে প্রতাহার না করা হলে ৩০নভেম্বর সন্ধ্যার পর সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ। কর্মসূচী-৩ঃ ১ডিসেম্বর থেকে হোটেল রেস্তরা ও ঔষধের দোকান ব্যতিত সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ এবং চরফ্যাশন উপজেলায় সকল পন্য আমদাী রপ্তানী বন্ধ থাকবে। চরফ্যাশন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি প্রভাষক মনির উদ্দিন চাষী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, যুগ্ন সম্পাদক মাইনুল ইসলাম মনির, বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম দুলালসহ ব্যবসায়ী নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো. রুহুল আমিন জানান, ডিলিং লাইসেন্স করার বিষয়ে ইতিপূর্বে ব্যবসায়ীদেরকে বলা হয়েছে। ১০দিনের সময় দিয়ে আমি পোষ্টটি দিয়েছি যারা জানেনা তাদের জন্য। আমার ভুল এটুকুই আমি লিখিনি যারা জানেনা তাদের জন্য এই পোষ্ট।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৪:২১ ১৮৭ বার পঠিত |