মিজান নয়ন।।ভোলাবাণী।। চরফ্যাশন অফিস॥
চরফ্যাশনের ওসমানগঞ্জের আলোচিত রশিদ হত্যা মামলার রায় ঘোষনা করা হয়েছে। রবিবার অতিরিক্ত দায়রা জজ চরফ্যাশন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো.নুরুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে ১১আসামী এবং বাদী বিবাদী পক্ষের আইনজীবিদের উপস্থিতিতে জনাকীর্ন আদালতে এ রায় ঘোষনা করেন।
রায়ে ১৮আসামীর মধ্যে ১৪ আসামীর প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারদন্ডসহ পঞ্চাশ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন অংকে অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে আরো বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। খালাস প্রদান করা হয়েছে ৪ আসামীকে।দন্ডিত আসামীরা হলেন- লাল মহন উপজেলার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আবুল বাসার ও নুর হোসেন, আবুল বাশারের ছেলে নোমান, চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার মৃত হাবিবুবুর হোসেনের ছেলে সাহাবু্িদ্দন, মৃত আবদুল গনির ছেলে কাঞ্চন পাটোয়ারী , মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ছাদেক মাঝি , মৃত কাশেম হাওলাদারের ছেলে সিরাজ হাওলাদার, মৃত নোয়াব আলীর ছেলে আবদুল হক ফকু ওরফে হকু মুন্সি, মৃত কাশেম হাওলাদারের ছেলে সামছু হাওলাদার, জলিল মাঝির ছেলে বাদশা ওরফে বাশু , মতলেব ডাক্তারের ছেলে আবদুল জলিল, সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে কাঞ্চন মিস্ত্রি, মোশারেফ হোসেনের ছেলে আলা উদ্দিন, মৃত আলী মিয়া মুন্সির ছেলে ফজলে করিম মুন্সি।
খালাস পাওয়া আসামীরা হলেন- ইউনুস পাটোয়ারী, ইমান আলী, এছাহাক মাঝি ও আবু বকর সিদ্দিক ওরফে সিদ্দিকুর রহমান ওরফে টিটু।
রায় ঘোষনার পর আদালত প্রাঙ্গনে নিহত আ.রশিদের বড় ছেলে মো.ইউনুছ মিয়া রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে আসামীদের বরাত দিয়ে আসামী পক্ষের আইনজীবি মো. ছালেহ উদ্দিন জানান, এরায়ে আসামীরা সংক্ষুব্দ। এ আদেশের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। তাদের বিশ্বাস উচ্চ আদালতে তারা মামলা থেকে অব্যাহতি পাবেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন অতিরিক্ত পিপি এ এমআমিনুল ইসলাম সরমান । আসামী পক্ষে এ্যাডভোকেট মো. ছালেহ উদ্দিন, মো. মোজাম্মেল হক, মো. রমিজ উদ্দিন ও মো. সিদ্দিক মামলাটি পরিচালনা করেন। ষ্টেট ডিফেন্স পক্ষে ছিলেন এ্যাড ভোকেট মো. মাইনুল ইসলাম সরমান।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে প্রকাশ, মামলার বাদি হানিফের ভাই আব্দুর রশিদের সঙ্গে আসামীদের জমি নিয়ে বিরোধের বিষয়ে দেওয়ানী মামলা চলমান। তাহাতে আসামীরা বাদীর ভাইকে খুন করার চেষ্টা করে। ৩০-০৫-১০১৩ইং তারিখ সন্ধ্যায় তাহার ভাই আ: রশিদ মিয়া কর্তার হাট মসজিদে মাগরিবের নামাজ শেষে বাজার করে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তাহার বসত ঘর সংলগ্নে পৌছলে পাশের সুপারী বাগান থেকে বের হয়ে আসামী কামাল ও কাঞ্চন তাকে দাড়াতে বলে। এসময় আ:রশিদ কথা না শুনে বাড়িতে আসার চেষ্টা করলে আসামী নুর হোসেন ও নোমানসহ অজ্ঞাত আসামীরা তাকে ঝাপ্টে ধরে মাটিতে শোয়ায়ে ফেলে। এসময় আসামী আবুল বাসার তাহার হাতে থাকা ছেনি দিয়ে আ. রশিদের ঘাড়ে সজোড়ে কোপ দিয়ে দেহ হতে বিচ্ছিন করে ফেলে এর পর স্বাক্ষীরা এসে ঘটনা দেখে ও শোনে। এঘটনায় নিহত আ. রশিদের ভাই মো. হানিফ বাদি হয়ে চরফ্যাশন থানায় জিআর মামলা নং ১২৯/১৩ দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৮:৫১ ৩২০ বার পঠিত |