মিজান নয়ন।।ভোলা বাণী।।চরফ্যাশন অফিস॥
চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার চরমায়া মোহাম্মদিয়া নুরানী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা নুর হোসাইনকে স্থানীয় হাফেজ নামের এক ব্যক্তিসহ তার সহযোগীরা পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় গুরুতর আহত নুর হোসাইনকে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চরফ্যাশন সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। শনিবার মায়ারদোন ব্রীজের অদুরে কাশেম মাষ্টারের বাড়ির দরজার স্কুলের সামনে এঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এঘটনায় আহতের বাবা মো আলাউদ্দিন বাদী হয়ে বাচ্ছু হাওলাদারসহ ৬জনকে আসামী করে শনিবার রাতেই শশীভূষণ থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ মামলার এজাহার ভুক্ত এক আসামী শাহে আলমকে গ্রেফতার করে আজ রবিবার আদালতে সোপর্দ করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শশীভূষন থানার এসআই কমলেশ দাস এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত নুর হোসাইনের ভাষ্যমতে, এলাকার মানুষের সহযোগীতায় তিনি মাদ্রাসাটি তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ার সুবিধার্থে আল আমিন নামের এক ব্যাক্তিকে শিক্ষক হিসেবে নেয়া হয়। ওই আল আমিন যোগদানের পর থেকে মাওলানা নুর হোসাইনকে বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। তিনি স্থানীয় হাফেজ নামের এক ব্যক্তিকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে তাকে পিটিয়ে আহত করিয়েছেন। শনিবার অভিযুক্ত হাফেজ তার স্ত্রীকে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ তুলে মাওলানা নুর হোসাইনকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে দীর্ঘ সময় যাবত তালাবদ্ধ করে রাখেন। মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা বিষয়টি জানতে পেরে ওই তালা ভেঙ্গে তাকে ক্ষুধার্থ অবস্থায় উদ্ধার করে মায়ার দোন ব্রীজ সংলগ্ন দোকানে খাওয়াতে নিলে সেখান থেকে হাফেজসহ তার সহযোগীরা তাকে জোড়পুর্বক মটর সাইকেলে তুলে কাশেম মাষ্টারের বাড়ির দরজার স্কুলের সামনে নিয়ে বেদরক মারধর করেন।
মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বাদসু বেপারী জানান, হুজুরকে মাদ্রাসা থেকে বাদ দেয়ার জন্যই শিক্ষক আল আমিন স্থানীয় হাফেজকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে এসব করেছেন।
শিক্ষক আল আমিন জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়।
শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মো.রফিকুল ইসলাম জানান, এঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার এক আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৩:২০ ২৭২ বার পঠিত |