মিজান নয়ন, চরফ্যাশন অফিস, ভোলা বানী॥
মনপুরা থেকে ছেলেকে দেখতে চরফ্যাশন এসে ছাত্রলীগ নেতার হামলায় আহত হয়েছেন এক বাবা। হামলার শিকার ওই ব্যক্তির নাম মো.নাগর। সে মনপুরা উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে। সোমবার রাতে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডস্থ মাইনুদ্দিন বেড়িবাঁধ এলাকায় এঘটনা ঘটে।
হামলা শিকার আহত নাগর বলেন, আমি হাজারীগঞ্জ ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় আমার খালাতে বোনকে বিয়ে করি। সোহাগ নামে আমাদের এক পুত্র সন্তান জম্মের পর তার ৪বছর বয়সকালে ভুল বুঝাবুঝির কারণে বিগত ৮/৯বছর আগে আমার স্ত্রী আমাকে তাকে তালাক দেয়। এর পর থেকে পরিবারটির সাথে আমার কোন যোগাযোগ ছিলোনা। ঘটনার ৩/৪দিন আগে ছেলে সোহাগ আমাকে দেখতে মন চায় জানিয়ে ফোন করলে ছেলের ফোনে আমি তাকে দেখতে আসি। রাতে ঘরের সামনের কক্ষে বসে ছেলের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে স্থানীয় হুমায়ূন,মতলব দালাল ও আইয়ুব আলী কথা আছে বলে আমাকে মাইনু্িদ্দন ঘাটে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে নিলে শশী ভূষণ থানা ছাত্র লীগের যুগ্ম আহবায়ক মো মাকসুদ আমাকে তোর এই বাড়িতে কি বলে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে এলো পাথারী মারধর করে দ্রুত এই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে দেয়। সে আরো জানায়, হামলার পর অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় স্থানীয় মনির হোসেন নামে তার এক আত্মীয় তাকে গোপনে তার বাড়িতে আশ্রয় দিলেও চিকিৎসা নেয়ার মতো অর্থ না থাকায় সে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে পারছেনা। নিতে পারছেনা চিকিৎসা সেবা।
নাগরের খালা জানায়, নাগরের সঙ্গে আমার মেয়ে বিয়ে দিয়েছিলাম সে সম্পর্ক নাই তো কি হয়েছে ? সে তো আমার বোনের ছেলে। তাছাড়া আমাদের কাছে তার ছেলে আছে সে তার ছেলেকে দেখতে এসেছে, সেতো আমার মেয়ের সঙ্গে কথা বলেনি কিংবা আমার মেয়েও তার সঙ্গে কথা বলেনি তবে কেন তারা ছেলেটাকে এভাবে মারধর করলো।
শশী ভুষণ থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো.মাকসুদ জানায়, স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছে নাগর দুই দিন যাবত ওই ঘরে থাকে তাই আমি তাকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ কালে সে উল্টা পাল্টা কথা বলায় আমি তাকে পাইপ দিয়ে দুইটা বাড়ি দিয়েছে। এর বেশী কিছু না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:১৫:৫০ ২৮৭ বার পঠিত |