ভোলায় নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মহিউবুল্লাহ মিয়াকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ।

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ভোলায় নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মহিউবুল্লাহ মিয়াকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ।
শনিবার, ২০ জুন ২০২০



স্ট্যাফ রির্পোটার।।ভোলা বাণী।।
ভোলা সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নের নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার একটি নারিকেল গাছ রাতের আঁধারে কেটে নিলেন সাবেক সুপারের ছেলে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মিজানুর রহমান। গাছ কাটার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে মিজানুর রহমান অফিস কক্ষে প্রবেশ করে মাদ্রাসার বর্তমান সুপার মহিউবুল্লাহ মিয়াকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২০ জুন) সকালে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এই ঘটনা ঘটে।

নারিকেল গাছ রাতের আঁধারে কেটে নিলেন  ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মিজানুর রহমান।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, মাদ্রাসার সাবেক সুপার মাওলানা আবু তাহের অবসর নেওয়ার পর বিভিন্নভাবে মাদ্রাসার সুপার মহিবুল্ল্যাহকে হয়রানী করে আসছে। কয়েকবার এ বিষয় নিয়ে থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে। মাদ্রাসার সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মিলন মিয়া সেই অতীতের ঝামেলা সমাধান করে দেয়। সাবেক সুপার আবু তাহেরেরে ছেলে মিজানুর রহমান বাড়ীর রাস্তার তৈরি করার জন্য মাদ্রাসার নারিকেল গাছ রাতের আধারে কেটে ফেলেন। খবর পেয়ে বর্তমান সুপার মহিবুল্লাহ মাদ্রাসায় গিয়ে গাছ কাটা দেখতে পান। পরে তিনি বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটির সদস্য খোরশেদ আলম, ইউপি সদস্য কামালসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে দেখান এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিলন মিয়াকে জানান।সাবেক সুপারের ছেলে মিজানুর রহমান হঠাৎ মাদ্রাসার অফিস কক্ষে প্রবেশ করে বর্তমান সুপার মাওঃ মহিবুল্লাহকে লাঞ্চিত করে। এসময় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য খোরশেদ আলম, শিক্ষকদের বাধার কারণে মহিবুল্লাহকে মারধর করতে পারেনি মিজান। মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য খোরশেদ আলম হাওলাদার বলেন, সুপার মহিবুল্লাহ সাহেব আমাকে লোক দিয়ে ডেকে এনে নারিকেল গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি দেখান। অফিস কক্ষে প্রবেশ করে আমার সামনে সুপারের সাথে মিজান মারমুখী আচরণ করেছে। একজন সাবেক সুপারের ছেলে বর্তমান সুপারকে তার অফিস কক্ষে এসে যেভাবে লাঞ্ছিত করেছে, এটা দুঃখজনক।
মাদ্রাসার সুপার মাওঃ মহিউবুল্লাহ মিয়া বলেন, গাছ কেনো কেটেছে এই কথা জিজ্ঞেস করা কি আমার অপরাধ? আমাকে মিজান মাদ্রাসার অফিসে লাঞ্ছিত করেছে। যদি লোকজন না থাকতো তাহলে মিজান আমাকে মারধর করতো। গাছ কাটা ও লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাটি আমি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিলন মিয়াকে জানিয়েছি। তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমি এসেছি, ঘটনা সত্য।
অভিযুক্ত মিজান জমাদারের সাথে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি গাছ কেটেছি এটা সত্য। আমি যেটা করেছি সেটা অন্যায় করেছি। সুপারকে আমি লাঞ্ছিত করিনি। তার সাথে আমার সামান্য বাক্য বিনিময় হয়েছে। আমি সুপারের কাছে মাপ চাইবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫৯:১২   ১৮৯ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


তজুমদ্দিনে ঢাকাগামী লঞ্চ থেকে ৩শ কেজি পাঙ্গাসের পোনা আটক ॥
প্রাইম ইউনিভার্সিটি ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির মধ্যে যৌথ চুক্তি স্বাক্ষরিত
ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪ আপনারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন-মোহাম্মদ ইউনুছ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪ লালমোহনে দোয়াত কলম সমর্থকদের ওপর শালিক সমর্থকদের হামলার অভিযোগ
চরফ্যাশনে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য নিহত
ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় চলছে বাগদার রেণু শিকারের মহোৎসব
ড্রেজারে সরকারি জলাশয়ের মাটি খনন ঝুঁকিতে মুজিব কিল্লা
চরফ্যাশনে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
এসএসসিতে বরিশাল বোর্ডে শীর্ষে পিরোজপুর জেলা
ভোলা শহরে নেই কোন গণশৌচাগার ॥ জনগনের ভোগান্তি চরমে

আর্কাইভ