খলিল উদ্দিন ফরিদ।।ভোলাবাণীঃ
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জীবনের ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করছে হাজার হাজার যাত্রী। ফেরি, নৌকা ও ট্রলারে করে হাজার হাজার মানুষ দ্বীপজেলা ভোলায় প্রবেশ করছে।
বুধবার সকাল থেকে লক্ষ্মীপুরের মৌজু চৌধুরীর ঘাট থেকে বিআইডব্লিউটিসির একটি ফেরিতে ভোলার ইলিশা ঘাটে এসেছে প্রায় ৭ হাজার যাত্রী। একইভাবে নৌকা, ট্রলার ও স্পিডবোটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভোলায় যাত্রী আসলেও এদের নিয়ন্ত্রণে ঘাটগুলোতে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
বুধবার সকালে ভোলা-ইলিশা সড়কে উৎসবের আমেজে হাজার হাজার মানুষকে ঘরের উদ্দেশ্যে ছুটতে দেখা যায়। এদের নেই ভাইরাস প্রতিরোধের কোন ব্যবস্থা। এমনকি অধিকাংশকেই দেখা গেছে মাস্কবিহীন। হাতে গ্লোভস নেই। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একা চলার পরিবর্তে এরা উৎসব আমেজে গন্তব্যে ছুটছেন।
তারা জানান, সরকারি ছুটির ঘোষণায় রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শহরে অবস্থান করলে নানান ভোগান্তির শিকার হবেন- এই আশঙ্কা থেকে তারা সুযোগ বুঝে দেশের বাড়িতে স্বজনের কাছে ফিরেছেন।
বিআইডব্লিউটিসির ফেরি কনক চাঁপার মাস্টার আজিজুর রহমান জানান, ভোররাত ৩টায় তার ফেরিটি লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর ঘাটে ভিড়ানো হয়। আন লোডের আগেই হাজার হাজার যাত্রী ফেরিতে উঠে পরে। নিরুপায় হয়ে বাস-ট্রাকের পরিবর্তে প্রায় ৭ হাজার যাত্রী নিয়ে ভোলায় আসতে বাধ্য হয়েছেন তারা। লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর ঘাটে আরও ১০ হাজার যাত্রী ভোলায় আসার জন্য অপেক্ষা করছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে ভোলায় অভ্যন্তরিন বাস চলাচল না থাকায় মালবাহি ট্রলি,ট্রাক,মাহেন্দ্রা,নসিমনে করে জীবনের ঝুকি নিয়ে গন্তব্যে পৌছাতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, করোনা প্রতিরোধে মঙ্গলবার দুপুর থেকে ভোলার সাথে রাজধানী ঢাকা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুরসহ দেশের মূল ভূখণ্ডের সড়ক ও নৌপথের সকল গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি গোটা জেলার সকল হাট বাজার দোকানপাট এবং অভ্যন্তরীণ গণপরিবহন বন্ধ করা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ভোলার সচেতন মহল বলছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এমন আতঙ্ক নিয়ে ভোলায় যারা প্রবেশ করছে তাদের ঝুঁকি বেশি রয়েছে। তবে প্রশাসনের কোন ভূমিকা ঘাটে না থাকায় দুঃখপ্রকাশ করেন সচেতন মহল।
বাংলাদেশ সময়: ২০:০৬:১৫ ১৯২ বার পঠিত |