তজুমদ্দিনে মৌসুমী বৃষ্টির কারণে ২শ হেক্টর জমি অনাবাদি থাকার আশংকা

প্রথম পাতা » তজুমদ্দিন » তজুমদ্দিনে মৌসুমী বৃষ্টির কারণে ২শ হেক্টর জমি অনাবাদি থাকার আশংকা
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০



--- হেলাল উদ্দিন ‍লিটন।। ভোলাবাণী।।তজুমদ্দিন প্রতিনিধি ॥
অসময়ে মৌসুমী বৃষ্টিতে ভোলার তজুমদ্দিনে আলু চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। অতিমাত্রায় বৃষ্টির কারণে ক্ষেতে পানি জমে রোপণ করা বীজতলা নষ্ট হয়ে যায় এবং অনাবাদি জমিতেও পানি জমে যায়। যার ফলে এ উপজেলায় এবার প্রায় ২শ হেক্টর জমি অনাবাদি থাকার আশংকা করছে কৃষি অফিস।
তজুমদ্দিন উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবছর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৩৭০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষমাত্রা নিধারণ করে। সারের দাম ও বীজ নিয়ন্ত্রনে এবং পরিবেশ অনুকূলে থাকায় শেষ পর্যন্ত লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে প্রায় ৪শ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করেন কৃষকেরা। গত কয়েকদিন পূর্বে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একদিনের টানা বৃষ্টিতে ক্ষেতে পানি জমে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি প্রায় ২শ হেক্টর জমির আলুর বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। যার ক্ষতির পরিমান প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা।
একাদিক কৃষকের সাথে আলাপকালে জানা যায়, এসব এলাকার অধিকাংশ কৃষকেরা অধিক ফলনের আশায় ডায়মন্ড জাতের আলুর চাষ করে। এবছর তারা মৌসুমের শুরুতেই সার বীজ সংগ্রহ করে জমি প্রস্তুত করে। কিন্তু বীজ রোপনের পর চারা গজানোর আগেই বৃষ্টি হয়ে সম্পন্ন বীজ নষ্ট হয়ে যায়। পানি শুকানোর পর পুনরায় এসব জমিতে অন্য ফসলেরও চাষ করাও সম্ভব নয়। যার কারণে এসব জমি এবছর খালি পড়ে থাকবে। এতে লোকসানের মুখে হতাশা হয়ে পড়ে কৃষকেরা।
চাঁচড়া ইউনিয়নের কৃষক মোঃ নুর উদ্দিন ও চাঁদপুর ইউনিয়নের কৃষক মোঃ মিজান বলেন, বুক ভরা আশা নিয়ে ধার দেনা করে প্রায় সাড়ে ৩ একর জমিতে আলুর বীজ রোপণ করি। প্রতি একর জমিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। বীজতলা থেকে চারা গজানোর আগেই বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে যায়। পানি সরানোর চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি। সম্পন্ন বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। এতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার বেশি ক্ষতি হয়। এখন কীভাবে ধার কর্জ করা এসব টাকা পরিশোধ করবো তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি।
চাঁচড়া ইউনিয়নের কৃষক শাহে আলম বলেন, ৮০ শতাংশ জমিতে উন্নত মানের বীজ সংগ্রহ করে আলু চাষ করেছি। জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে সার, বীজ সংগ্রহ ও রোপন করা পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। বিগত বছরের লোকসান কাটিয়ে লাভবান হওয়ার আশায় আলু আবাদ করলেও বৃষ্টির কারণে সম্পন্ন বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সকল আশাই মাঠিতে মিশে যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন বলেন, তজুমদ্দিনে এবছর লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি উন্নত জাতের আলুর চাষ হয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে প্রায় ২শ হেক্টর জমির আলুর বীজতলা নষ্ট হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। চাষাবাদের সময় না থাকায় এসব জমি এবছর অনাবাদি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কৃষকেরা চাইলে মুগ ডালের চাষ করে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪৬:১৩   ১৪৮ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

তজুমদ্দিন’র আরও খবর


শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন মুফতি মাও: মুজির উদ্দিন
তজুমদ্দিনে ৮৫৬টি গাছ কেটে রাস্তা চওড়া করার প্রস্তুতি সম্পন্ন ,স্থানীয়দের ক্ষোভ
তজুমদ্দিনে আগুনে পুড়ে ১৩ দোকান ছাই পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি ॥
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে ॥
তজুমদ্দিনে গণহত্যা দিবস পালিত ॥
তজুমদ্দিনে প্রতিবন্ধী শিশুকে শিকল দিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ॥
তজুমদ্দিনে সরকারি চাল উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
তজমদ্দিনে পল্লীসেবার আয়োজনে বঙ্গবন্ধু’র জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত ॥
তজুমদ্দিনে সরকারি ২৪ বস্তা চাল উদ্ধার ॥ তদন্ত কমিটি গঠন
তজুমদ্দিনে যুব উৎসব পালিত ॥

আর্কাইভ