তজুমদ্দিনে বার্ষিক পরীক্ষার ফি’র নামে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ॥

প্রথম পাতা » তজুমদ্দিন » তজুমদ্দিনে বার্ষিক পরীক্ষার ফি’র নামে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ॥
রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯



ছবি ক্যাপশন ঃ ছবিতে ২৮নং চাঁদপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।হেলাল উদ্দিন ‍লিটন।। ভোলাবাণী।।তজুমদ্দিন প্রতিনিধি ॥
ভোলার তজুমদ্দিনে ২৮ নং চাঁদপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বার্ষিক পরীক্ষার ফি’র নামের অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা সদরে বসে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারী নিয়ম বর্হিভূতভাবে বিভিন্ন ধরনের চাঁদা আদায় করলেও শিক্ষা অফিস তা বন্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এভাবে অবৈধ চাঁদা আদায়ের ফলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সচেতন মহলের মাঝে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার জন্য সরকার নির্ধারিত ফি হচ্ছে প্রথম শ্রেণিতে ১০ টাকা, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১৫ টাকা, ৩য় শ্রেণিতে ২৫ টাকা ও ৪র্থ শ্রেণিতে ৩০ টাকা। অথচ ২৮ নং চাঁদপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারের এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করছে অতিরিক্ত চাঁদা। তাদের এধরনের চাঁদা আদায়ে রীতিমত অবাক শিক্ষা অফিসও। ওই বিদ্যালয়ের একাধিক সহকারী শিক্ষকের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ১ম ও ২য় শ্রেণিতে পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থী প্রতি ৪০ টাকা হারে ৫০৪০ টাকা, ৩য় শ্রেণিতে ৫০ টাকা হরে ৩ হাজর ১০০ টাকা ও ৪র্থ শ্রেণিতে ৬০ টাকা হারে ৭ হাজার ৩শত ২০ টাকা, মোট ৩১০ জন শিক্ষার্থীর কাছে পরীক্ষার ফি বাবদ ১৫ হাজার ৪শত ৬০ টাকা উত্তোলন করেন।
সরকারী কোন নিয়ম না থাকলেও স্কুলের সহকারী শিক্ষক মহিউদ্দিন সঞ্চয় ব্যাংকের নামে উত্তোলন করেন ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক ২০ হারে চাঁদা। যার পরিমাণ বছর শেষে দাঁড়ায় ২৯ হাজার ২শত ৮০ টাকা প্রায়। কোন শিক্ষার্থী সঞ্চয় ব্যাংকের নামে ওই চাঁদা দিতে না চাইলে মারপিট করা হয় বলেও নাম প্রকাশে অনি”ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান।
এছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা সমপনী পরীক্ষার সার্টিফিকেট সরকার বিনামূল্যে সরবরাহ করলেও চাঁদপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিটি সার্টিফিকেট বাবদ সর্বনিন্ম ১’শত টাকা করে নেন। উপজেলা শিক্ষা অফিস বলছে যেহেতু সরকার বিনামূল্যে সার্টিফিকেট সরবরাহ করে সেহেতু টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নেই। কেউ যদি সার্টিফিকেট দিয়ে টাকা নেয় তা অবৈধ এটি একধরনের চাঁদাবাজির সামিল।
ওই বিদ্যালয়ের ২০১৭ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা অংশ নেয়া সাইফুল ইসলাম মাহি ২০১৯ সালে তার সার্টিফিকেট নিতে গেলে তার কাছ থেকে সার্টিফিকেট বাবদ ১শত টাকা নেয়া হয় বলে জানান তার অভিভাবক। এ সকল চাঁদা আদায়ের জন্য কোন রিসিট সরবরাহ করেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ। অথচয় সরকারী প্রতিষ্ঠানের কোন লেনদেনই রিসিটের বাহিরে করা অবৈধ।
এছাড়াও উপজেলার ১০৯টি স্কুল ২০ থেকে ৩০ টাকা হারে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি আদায় করছেন বলেও জানা যায় স্কুল সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করে।

এ সকল চাঁদা আদায়ের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মিতালী দত্তের কাছে জানতে চাইলে তিনি একটু পরে কথা বলবেন বলে লাইন কেটে দেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, সরকার নির্ধারিত পরীক্ষার ফি’র বাহিরে টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নেই। খোলা তারিখে সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসারকে দিয়ে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর সার্টিফিকেট যেহেতু সরকার বিনামূল্যে দেয় সেখানে টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নেই। অন্যদিকে সঞ্চয় ব্যাংকের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় সম্পূর্ণ অবৈধ এটি করা যাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:২৪:৪২   ২১০ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

তজুমদ্দিন’র আরও খবর


শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন মুফতি মাও: মুজির উদ্দিন
তজুমদ্দিনে ৮৫৬টি গাছ কেটে রাস্তা চওড়া করার প্রস্তুতি সম্পন্ন ,স্থানীয়দের ক্ষোভ
তজুমদ্দিনে আগুনে পুড়ে ১৩ দোকান ছাই পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি ॥
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে ॥
তজুমদ্দিনে গণহত্যা দিবস পালিত ॥
তজুমদ্দিনে প্রতিবন্ধী শিশুকে শিকল দিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ॥
তজুমদ্দিনে সরকারি চাল উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
তজমদ্দিনে পল্লীসেবার আয়োজনে বঙ্গবন্ধু’র জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত ॥
তজুমদ্দিনে সরকারি ২৪ বস্তা চাল উদ্ধার ॥ তদন্ত কমিটি গঠন
তজুমদ্দিনে যুব উৎসব পালিত ॥

আর্কাইভ