সীমান্ত হেলাল, মনপুরা থেকে ॥
ভোলার মনপুরায় রাস্তার উপর ফলের দোকান সরানো ও ব্যবসায়ীদের মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে ব্যবসায়ীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় পুলিশের শর্টগানের গুলিতে অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ীসহ এক সাংবাদিক আহত হয়েছে। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশের ওসিসহ ৬ সদস্য আহত হয়। আহতদের মনপুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলার হাজির হাট বাজারে দেড় ঘন্টাব্যাপি পুলিশের সাথে ব্যবসায়ীদের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে সোয়া ১১ টায় স্থানীয় নের্তৃবৃন্ধেদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
পুলিশের শর্টগানের গুলিতে আহতরা হলেন, দৈনিক ভোরের পাতার স্থানীয় প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম মামুন, ব্যবসায়ী সোয়েব, মোঃ ইব্রাহীম, আবু তাহের, শরিফ, নুরুউদ্দিন, তরিকুল ইসলাম, আরিফ, হারুন, কবির, নাহিদ, হারুন, রাকিব, হোসেন, লিটন ফরাজী, মোসলেহ উদ্দিন, জামাল নুরুউদ্দিন, নুরইসলাম, কুটি মাঝি, আবদুর রহমানের নাম পাওয়া গেছে।
অপরদিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপে আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, ওসি শাহীন খান, এএসআই প্রদীপ, পুলিশ সদস্য জুনায়েদ, আরিফ, জসিম, আবদুল হালিম, নাইম।
ব্যবসায়ী ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়, হাজিরহাট বাজারের ফলের ব্যবসায়ী হারুন, আবদুর রহমান ও হাসানের দোকান উচ্ছেদ ও ব্যবসায়ীদের মারধর করে পুলিশের ওসি শাহীন খান। পরে ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাৎক্ষনিক দোকানপাট বন্ধ রেখে পুলিশের বিরুদ্ধে মিছিল বের করে। একপর্যায়ে পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যবসায়ীদের উপর কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি করলে ব্যবসায়ীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের গুলিতে দৈনিক ভোরের পাতার স্থানীয় প্রতিনিধিসহ অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী আহত হয় এবং ব্যবসায়ীদের ইট-পাটকেলে ৭ পুলিশ আহত হয়।
বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন জানান, বিনা নোটিশে পুলিশ তিন ব্যবসায়ীর ফলের দোকান উচ্ছেদ করার সময় মারধরের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রেখে মিছিল করে। পরে পুলিশ বিনা উসকানিতে ব্যবসায়ীদের উপর বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে। এতে অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী আহত হয়।
মনপুরা থানার ওসি শাহীন খান জানান, রাস্তার উপর ফলের দোকান উঠাতে যাই। পরে ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে শর্টগানের গুলি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫৮:৩৫ ৩০৪ বার পঠিত |