—বিশেষ সংবাদদাতা।।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় এবার ডাবল ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার পৃথক ধর্ষণের শিকার কয়েছেন অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী ও এক বিধবা নারী। উভয় ঘটনায় ধর্ষিতারা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই স্কুল ছাত্রীর মা তাকে রেখে নানাবাড়িতে বেড়াতে যান। এ সময় তার বাবা নদীতে মাছ শিকার করছিলেন।
এ সুযোগে একই এলাকার আব্দুল রশিদের ছেলে মো. সোহাগ ওই ছাত্রীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। ওই সময়ে তার বাবা বাড়ির কাছে আসলে মেয়ের চিৎকার শুনতে পান। সে সময় তার বাবা বাসায় গেলে ধর্ষক তাকে মারধর করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা শুক্রবার বিকেলে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। অপরদিকে একই উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের এক বিধবা নারীর সঙ্গে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, ওই নারীর স্বামীর মৃত্যুর পর স্বামীর বাড়িতেই সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির মুরগির খামারের খাবার দিতে গেলে এলাকার মাদকসেবী মাকসুদ, ছালাউদ্দিন ও আলমগীর তাকে মুখ চেপে পাশ্ববর্তী গরুর খামারে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। পরে সকালে স্থানীয়রা তাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে ধর্ষিতার বড় বোন বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি নিচ্ছেন। ভোলা সদর হাসপাতালের সিনিয়র নার্স সারজিনা জানান, ধর্ষিতাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মো. এনামুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্কুল ছাত্রীর ধর্ষণের বিষয়ে ছাত্রীর বাবা তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।
এছাড়া অপর ধর্ষণের বিষয়ে এখন কোনো অভিযোগ থানায় আসেনি। আমরা আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৩:৫৫ ৩৮৬ বার পঠিত |