ভোলাবাণী বিভাগীয়ঃ
একবেলা খেয়ে দিন কাটানো বরিশালের পলাশপুরের সেই এতিম শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ডিসি এসএম অজিয়র রহমান।
শনিবার বিকেলে নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশপুর গুচ্ছগ্রামের রহমানিয়া কিরাতুল কুরআন হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা পরিদর্শনে যান ডিসি।
এ সময় তিনি এতিম শিশুদের খাবারের জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা এবং দুই টন সরকারি চাল বরাদ্দ দেন। এছাড়া আগামী ছয় মাসের চাল দেয়ার আশ্বাস দেন।
ডিসি এসএম অজিয়র রহমান জানান, অনাথ ও এতিম শিশু-কিশোরদের পাশে দাঁড়ানো দায়িত্ব ও কর্তব্য। দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নগদ দশ হাজার টাকা এবং দুই টন সরকারি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী ছয় মাসের চাল দেয়ারও ব্যবস্থা করা হবে। কোনো অবস্থায়ই যাতে এতিমখানার শিক্ষার্থীদের খাবার সরবরাহে ব্যাঘাত না ঘটে সে ব্যাপারে আগামীতেও যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে।
মাদরাসা ও এতিমখানার পরিচালক ফিরোজ হাওলাদার বলেন, এতিম শিশুদের খাবারের অর্থ জোগাড় করতে রীতিমতো সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হচ্ছিল। খাবার কেনার অর্থ না থাকায় একবেলা খেয়ে দিন কাটছিল মাদরাসা ও এতিমখানার শিশুদের। যেদিন কেউ অর্থ দিয়ে সহায়তা করতো সেদিন কোনো রকমে দুই বেলার খাবার জোটতো শিশুদের। সাহায্য না পেলে সেদিন চিড়া-মুড়ি খেয়ে দিন পার করতে হয় তাদের।
মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালে ফিরোজ হাওলাদারের উদ্যোগে এতিমখানা ও মাদরাসাটি চালু করা হয়। তখন ছাত্র সংখ্যা ছিল কম। বর্তমানে ছাত্র সংখ্যা ১০৮ জন। এর মধ্যে আবাসিক ছাত্র সংখ্যা ৫২ জন। এতিম শিশু রয়েছে ২০ জন। আবাসিক ৫২ জন ছাত্রকে প্রতিদিন তিনবেলা খাবার সরবারহ করা হয়। তাদের খাবার সরবারহের অর্থ জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল।
তিনি আরো জানান, এতিমখানা ও মাদরাসা চালুর পর কয়েকটি কক্ষ নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় তা পরিচালনা করা হতো। এতিমখানা ও মাদরাসার দৈন্যদশার খবর পেয়ে নয় মাস আগে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ জেলা পরিষদের মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা অনুদান দেন। ওই টাকা তুলতে গিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা ভ্যাট দিতে হয়েছে। বাকি সাড়ে ১৩ লাখ টাকার মধ্যে ৬ লাখ টাকা দিয়ে জমি কেনা হয়। এরপর বাকি টাকা দিয়ে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এরই মধ্যে চারতলা ফাউন্ডেশনের ওই বিল্ডিংয়ের এক তলার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:২৬:৩২ ২৩৩ বার পঠিত |