ভোলাবাণী সাহিত্যঃ
তুমি জোর্তিরময় করলে আলোকিত দিশারী
আমি আঁধারে ঘুরে খুজি প্রেমিক পথচারী,
আমি জনমভর ভালোবাসার কান্ডারী
দুঃখ যাতনা সহে হলাম তোমার পিয়ারী।
তোমায় নিয়ে লিখি ছন্দে ছন্দে কাব্য কথা
মানব হিংস্র দিয়ে যায় দুঃখ-ব্যাথা,
রুপ লাবন্য সবুজের সমারোহ লতাপাতা
প্রেমের মালা বুনেছে হৃদয়ের খাতা।
আত্ম কথায় ভরিয়ে তুলি গল্প উপন্যাস
মনকে মেরে ফেলে হলাম জীবন্ত লাশ,
চরণে স্মরণে খুজে পেলাম না যে দেবদাস
ভালোবাসা অনুভবে প্রতিনিয়ত হচ্ছে বৃদ্ধি পায় না হ্রাস।
বৃষ্টির সব বারি জমে আঁখি দু’টি ছায়া কাব্য
মনের কালিমা মেঘ দুরে সরে ধূলোর রাজ্য,
আকাশ উজ্জ্বল সূর্য ওঠে আলিঙ্গন
রং তুলিতে ছবি আঁকি অন্তর থেকে রঙ্গন।
হতে পারি কবির কবিতার নাটোরের বনলতা
ভেসে চলা নর্দমা কচুরিপানা শাপলা খড়কুটা,
বেলি ফুলের সুঘ্রাণ ছড়ায় মালা বিনি সুতা
লম্বা কেশে বেণীগাঁথন মুগ্ধতা ছেয়ে মাথা।
আমি উঠলাম বাষ্পে দীর্ঘশ্বাস হিমালয়
হাটা-কর্দময় করি কষ্টকে জয়,
বাবুই পাখির বাসা বেঁধে দেখে তন্ময়
রাখাল বালকের গল্পটা হলো বিস্ময়।
লিখতে চাই কবি শামসুরের স্বাধীনতা
আমি নিঃস্ব করি যোদ্ধাহত হতাশাটা,
শান্তি আনি পুর্নিমা রাতের মুগ্ধতা
জাগ্রত করি সমাজ মানবতা।
প্রেমিক হলাম শেক্সপিয়রের জুলিয়েট জোস্না রাতে সমুদ্র স্নানে অধম ইডিয়েট,
সুঁচের ফোরে ফোরে মিশে একাকার ভালোবাসার নকশীকাঁথা অমরত্ব পেল কবিতা।
আমি হই বিদ্রোহী -অগ্নিবীণা
হিংসা বিদ্বেষ সব করি মানা,
অশ্রুপাত স্রোতা গন্তব্যহীন পথ নাই জানা
শেষের কবিতায় সাঁইকে হল এখন চেনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৫:৩০ ১৯৫ বার পঠিত |