ভোলাবাণী সাহিত্যঃ
লেখক- নায়লা পাইলট।।
তোমাকে পাওয়ার সান্নিধ্যের আশায় অনেক পথ পাড়ি দিলাম।
তন্ন তন্ন করে খুঁজে প্রেমিককে ভালোবাসলাম।
ভালোবাসতে বাসতে ভেসে নিঃশেষ হলাম।
তবুও চেষ্টার ত্রুটি করলাম না।অবশেষে ডুব দিয়ে খুঁজে পেলাম, তুমিতো আমার মধ্যেই লুকোচুরি করছো।
কেন এত লুকোচুরি লুকোচুরি খেলা কর মরমে চরম?
তোমাকে পাবার জন্য কতো দহন যন্ত্রণা সইতে সইতে অবশেষে পেলাম;
কিন্তু যে গুপ্ত রহস্য স্বচক্ষে দেখলাম, নিজেকে নিজের প্রতি ধিক্কার দিলাম;
তোমাকে পাবার জন্য যেখানে নিঃস্ব হলাম এ’কেমন তার প্রবৃত্তি।
পাপাত্মা কি তাহলে স্বচক্ষে দেখা যায়?
নিজের অস্তিত্বকে পশুপতি রুপে দেখে আজ তোমারই মাঝে বিলীন হতে ইচ্ছে হয়।
পরম তুমি আমায় তোমার গুণে গুণান্বিত করবার জন্য অন্তরচক্ষু দিলে তো ঠিকই, কিন্তু আমি যে কষ্ট সহিতে পারি না।
এতো প্রেম, ভালোবাসা তবুও তো প্রেমিক কে সুপথে আনতে পারলাম না। প্রভু শক্তি দাও আমায় ক্ষমা করার।
সাহসী আমি, সাহস জাগাও পশুপতিকে বিতাড়িত করে রণক্ষেত্রে যুদ্ধ করবার শক্তি আমায় দাও।
তুমি মহা মহিম, তুমি অন্তর্যামী! আমি পাপী, আমি পালাতে চাহি না রণক্ষেত্র হতে।
কারন তুমিই তো বলেছ,,, রণক্ষেত্র থেকে পালাবে যে নরক পাবে সে।
প্রভু আমায় শক্তি দাও ক্ষমা করো প্রভু।।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৫৮:৫৬ ২০৭ বার পঠিত |