কবি- নায়লা পাইলট।।
অন্ধকারে ডুব দিতে আগে ভয় পেতাম আমাকে ঘিরে রেখেছে স্মৃতির দেয়াল,
মনে স্মৃতির প্রতীক বিষণ্ণ চোয়াল
তোমার অনন্য প্রেমের পিয়াস মেটালাম।
আমার অন্তরাত্মা নড়ে
অক্সিজেন মনের গভীরে চড়ে,
উড়ে যায় বিছানার চাদর,
আমি হৃদয়ের বসি পেতে মাদুর।
আমি শুয়ে মৌন কুরআন শুনি
ছটপট করে সাজানো স্বপ্নে ডানা মেলি,
চোখজোড়া পাথরসম অন্তর আত্মা কেঁপে
নয়ন জলে রক্তিম গালের ভাজে শুকিয়ে রবে থেমে।
স্রষ্টার কাছে কেঁদে মহিয়ান বিভোর
আমি পাথরের বুকে কান্নাতে বলিয়ান
পাতা ঝড়ে নতুন পাতা গজিয়ে নতুন সূর্য ওঠে
আলোক রশ্মি দেখে বিস্মিত ভোর।
আমি ও বোকা খুঁজে মরছি স্মৃতিপটে
ঘুরছি ফিরছি স্মৃতির অতলে তলিয়ে যাচ্ছি,
যেখানে তুমি আছো মনের গহীন সাগরের ললাটে।
শীত এসে শীত চলে যায় নিয়মের চক্রে
বসন্তের ফুল, ফল হয়ে ঝরে নতুন পুস্প ফোটে কোকিল ও গান গায় রেখা বক্রে
আমার অন্তর আত্মার ধ্বণি শুনি শুভ্রে।
আমি হারিয়ে শুধু তোমাতেই মিশে
এক একটি প্রহর কাটে বছরের মত নদীর জলে ভেসে ও রাতের পর ভোর আসবে কি? আমার মনের আকাংখা পূরণ হবে কিসে।
চিরদিন হৃদয় মন্দিরে স্থান করে নিলে স্মৃতিপটে তোমার নাম মুছতে পারি না
শাপলা, পদ্ম, শ্যাওলা ফোঁটে পুকুর বিলে
ঠোঁটের ভাজে ভাজে আবেগে তুমি মিশে ছিলে।
চোখের নোনাজল না মুছে প্রভুর পানে চেয়ে থাকি অগাধ বিশ্বাসে তৃষ্ণা মিটাবে কখন, তুমি! তৃষ্ণা তো মিটেনাই অনন্তকাল আমি মিথ্যে ভালোবাসার ঘোরে স্হির ডাগর দু’টি আঁখি।
আমি ভেবে কুল পাই না অবাক লাগে আজ তুমি স্মৃতি হয়ে প্রেম আমার কোথায় ভাসিয়ে দিলে?দীর্ঘশ্বাস বারবার ফুসফুসে অনবরত আসা যাওয়া করে তারা জ্বলে রাতে মাঝ।
বাংলাদেশ সময়: ১১:১৩:২৩ ৩৩১ বার পঠিত |