ভোলাবাণী : ঘড়ির কাটায় ঠিক ১টা ২৫ মিনিট। প্রিয় নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে অপেক্ষমাণ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লক্ষাধিক মানুষ। গাড়িযোগে মরদেহটি শহীদ স্মৃতিফলকে নিয়ে আসার পরই স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো এলাকা।
লক্ষাধিক মানুষের মাঝে যেন শুনশান নীরবতা। কিন্তু মরদেহটি গাড়ি থেকে স্মৃতিফলকে নিয়ে আসার সময় মুহূর্তেই অনেকটা ভেঙে যায় নিরাপত্তা। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। একপর্যায়ে লোকের ভিড়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েন জাতীয় পর্যায়ের নেতারা। তবে তাৎক্ষণিক কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে শহীদ স্মৃতিফলকে জুতা পায়ে উঠতে থাকে অনেক মানুষ। পরে পুলিশ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের শহীদ স্মৃতিফলকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা পুলিশ প্রশাসন। পরে দলীয় ও সর্বস্তরের জনগণ শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
মরদেহ সামনে রেখে সুরঞ্জিতের স্মৃতিচারণ করে জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে বেলা ১টার দিকে জেলা পুলিশ লাইন্স হেলিপ্যাড মাঠে পৌঁছে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহবাহী হেলিকপ্টার। প্রিয় নেতার মরদেহ গ্রহণ করেন জেলার শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে গাড়িযোগে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিফলকে তার মরদেহ নেয়া হয়।
মরদেহের সঙ্গে একমাত্র ছেলে সৌমেন সেনগুপ্তসহ জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও ঢাকা থেকে তার স্বজন ছাড়াও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৬:০১ ১২৫ বার পঠিত |