হেলাল উদ্দিন লিটন।।ভোলাবাণী।।তজুমদ্দিন প্রতিনিধি ।।
ভোলার তজুমদ্দিনে মাসিক জন প্রতি ১০ টাকা বেতনে শিক্ষকতা করে মক্তবের শিশুদের কোরআন শিক্ষা দি”েছন এক বিধবা নারী। প্রতিদিন প্রায় ৩০ জন শিশু শিক্ষার্থীকে দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবৎ জরাজীর্ণ একটি টিনের ঘরে নিয়মিত কোরআন শিক্ষা দিয়ে আসছেন ওই নারী। বর্তমানে মক্তবের ঘরটি জরাজীর্ণ হওয়ায় সামান্য বৃস্টিতে ভিজে একাকার হয় শিশু , কোরআন শরীফ ও আরবী কিতাবসহ বিছানাপত্র ।
¯’ানীয় সুত্র জানায়, প্রায় ৪০ বছর আগে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের মোল্লা গ্রামের লেদু করাতী বাড়ীর দরজায় মরহুম আসলাম মুন্সী শিশুদের কোরআন শিক্ষা দানের উদ্দেশ্যে শতাধিক শিশু নিয়ে মক্তবটি চালু করেন। সাম্প্রতিক সময়ে এলাকাবাসীর উদাসীনতা ও আর্থিক সংকটের কারণে টিন সিডের ঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। নির্ধারিত বেতন দেয়া সম্ভব না হওয়ায় নিয়মিত ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেয়া যায়নি ¯’ানীয়ভাবে । মক্তবের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ৫ বছর আগে গ্রামের কোমলমতি শিশুদের শুদ্ধরুপে কোরআন শিক্ষা দানের উদ্দেশ্যে পড়ানোর দায়িত্ব নেন বিধবা নারী নুরজাহান বেগম। বর্তমানে মক্তবটি চালু রাখতে দরকার সরকারী ও ¯’ানীয় অনুদান। না হলে আর্থিক সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে আদর্শ নাগরিক গঠনের এই প্রতিষ্ঠানটি। মক্তবের শিক্ষার্থী হাফসা, আঃ রহিম, মালেকাসহ কয়েকেজন বলেন, আমরা মাসে ১০ টাকা করে দেই। কেউ কেউ না দিয়েই মক্তবে পড়ে। একালাবাসী মোঃ হানিফ ও নুরুল হক জানান, নিশানা স্বরুপ মক্তবটি দাঁড়িয়ে আছে। আর্থিক অনটনের কারণে মক্তবটি প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। শিশু শিক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে ¯’ানীয় ও সরকারীভাবে মক্তবটিতে অনুদান প্রয়োজন। মক্তবের শিক্ষিকা নুর জাহান বেগম জানান, যখন যে যাহা দেয় তাই নেই। তবুও ধর্মীয় শিক্ষা চালু রেখে শিশুদের আদর্শবান করে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৫:৫৫ ২৩৯ বার পঠিত |