ভোলাবাণীঃ মহাকাল নামের বৃক্ষ থেকে যথারীতি ঝরে গেল আরও একটি পাতা। ২০১৮ সালকে বিদায় জানিয়ে আজ থেকে শুরু হলো আরও একটি নতুন বছরের পথচলা। স্বাগত ২০১৯ সাল।
আড়াই হাজার বছর আগে গ্রিক দার্শনিক ও পর্যটক হেরাক্লিটাস বলেছিলেন, পরিবর্তন ছাড়া পৃথিবীতে কিছুই স্থায়ী নয়। ঠিক তাই। প্রতিটি সূর্যোদয়েই থাকে নতুনের আবাহন। এর পরও, আজ নতুন একটি বছরের প্রথম দিনের প্রথম সূর্যোদয় নিশ্চয় আমাদের মানসপটে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে। নতুন বছরে ভুলত্রুটি আর ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, নতুন নতুন সাফল্য অর্জনের স্বপ্ন নিয়ে শুরু হোক আমাদের পথচলা।
২০১৮ সালটি শুরু হয়েছিল জাতীয় নির্বাচনের আবহ নিয়ে, শেষ হয়েছে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। তিক্ত কিছু ঘটনার পরও নতুন বছর এ জাতি নতুন নতুন স্বপ্নের জাল বুনে এগিয়ে যাবে, এটিই প্রত্যাশা।
১ জানুয়ারি নববর্ষ উদযাপনের প্রবণতা শুরু হয় ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তনের পর। খ্রিস্টানদের ধর্মযাজক পোপ গ্রেগরির নামানুসারে এ ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করা হয়। পরবর্তী সময়ে শুধু ইউরোপেই নয়, সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নববর্ষ পালনের প্রচলন ঘটে। প্রাচ্যের দেশগুলোতেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি।
মার্কিন লেখিকা মেলোডি লিন বিটির অমৃত বাণীর মতোই আমরা আমাদের আগামী দিনগুলোর গল্প সাজাব দৃঢ় সংকল্প নিয়েএমন প্রত্যাশা রইল।
নতুন বছর শুরুর প্রথম দিন আমরা আমাদের পাঠক, লেখক, শুভানুধ্যায়ী সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। আশা করি, অতীতের মতো সামনের দিনগুলোতেও আপনারা পাশে থেকে আমাদের পথচলাকে ঋদ্ধ করবেন। শুভ নববর্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৪১:০৩ ২৮১ বার পঠিত |